তথ্যমন্ত্রী বলেছেন শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে ভালো স্কুল হয় না
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে ভালো স্কুল হয়না। ভালো স্কুল করতে হলে ভালো শিক্ষকের দরকার। শিক্ষকমন্ডলীদেরকে ভালো পড়াতে হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের পাশাপাশি মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ ও মমত্ববোধ শেখাতে হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট দিয়ে ভালো স্কুলের মানদন্ড নির্ধারণ আমি মনে করিনা। আমি যেটি মনে করি, সেটা হলো গুরুজনের প্রতি কর্তব্যবোধ শেখাতে হবে। এগুলো আমরা ছোট বেলায় শিখেছি। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সেই জায়গায় এখন আর নাই। কিন্তু আমাদের পারিবারিক সংস্কৃতি, সামাজিক সংস্কৃতি ও পারিবারিক মূল্যবোধ এগুলোতে উন্নত দেশের তুলনায় আমরা অনেক বেশি সমৃদ্ধ। এটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া শিলক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর মো. মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক জাবেদ তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগৈর সহসভাপতি স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, শিলক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার। বক্তব্য রাখেন বাকলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম তালুকদার বাবু প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল হচ্ছে মানুষ গড়ার মূল কারখানা, স্কুলের শিক্ষা হচ্ছে মেধার মূল ভিত্তি। মেধা বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ, মমত্ববোধ শেখাতে হবে। এগুলো শেখানোর মধ্য দিয়ে যাতে মানুষ গড়ার কারখানায় সঠিক মানুষ গড়তে পারি সেই প্রচেষ্টা চালাতে পারি। সেই কাজে আমি আপনাদের পাশে থাকবো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে যে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে চাই আমাদের ও নতুন প্রজন্মের প্রচেষ্টায়, আমরা দেশকে সেই স্বপ্নের ঠিকানায় নয় শুধু স্বপ্নের ঠিকানাকেও যেন অতিক্রম করতে পারি সেই প্রত্যাশা করি।
ড. হাছান নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন গত ১১ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত ৪০ বছরেও হয়নি। কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনসহ এমন কোন রাস্তাঘাট নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে তিনবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে দল ও নেত্রী আমাকে অনেক দিয়েছেন। কিন্তু এত ব্যস্ততার মাঝেও আমার সাথে রাঙ্গুািনয়ার নাড়ির সম্পর্ক বিন্দুমাত্র কখনো ছিন্ন হয়নি। প্রতি সপ্তাহে এলাকায় সময় দিয়ে যাচ্ছি। এলাকার মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হয়নি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবেনা।