‘সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’ সম্পন্ন
পর্যটন শহর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রথম বারের মতো আয়োজিত ‘সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’ শেষ হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে সংগীত,নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক,ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং পারফর্মেন্স আর্টসহ বৈচিত্রপূর্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ শতাধিক শিল্পী এতে অংশগ্রহণ করেন।
আজ কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি,চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।সমবেত নৃত্য পরিবেশনা ও একক সংগীত পরিবেশনা করে তারা। একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীরা পরিবেশন করে পাইপ ব্যালেন্স, দিয়াবো ব্যালেন্স, রোপ রাউন্ড, রোলার বালেন্স, মার্শাল আর্ট, হাই সাইকেল ও রিং ডান্স।
‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সারাদেশে বিস্তৃত পরিসরে কাযর্ক্রম পরিচালনা করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৪ জানুয়ারি কক্সবাজার সমূদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
বান্দরবানের পাঁচটি স¤প্রদায়ের নৃত্য পরিবেশিত হয়।পাংখুয়া স¤প্রদায়ের পুষ্পনৃত্য, খেয়াং স¤প্রদায়ের মাছ ধরা নৃত্য,তনচঙ্গা স¤প্রদায়ের যুগলনৃত্য, লুসাই স¤প্রদায়ের জীবন ধারা নৃত্য এবং চাক স¤প্রদায়ের জুম নৃত্যও পরিবেশিত হয়।
শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার-এর সভাপতিত্বে কক্সবাজার সমূদ্রসৈকতে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের উন্মুক্ত মঞ্চে উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উৎসব প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৩ ফুট দীর্ঘ প্রতিকৃতি কক্সবাজার সমূদ্রসৈকতে ৭ দিনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।