৪ উইকেট মুস্তাফিজের
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়ালটন। কিন্তু বোলারদের দাপটে স্বরূপে ফিরল বিসিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ওয়ালটন। বিসিবি নর্থকে ১৬৬ রানে আটকে দিয়েছে তারা।
বোলিং ইনিংসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার গতকালের ১ উইকেটের সাথে আজ পেয়েছেন আরও ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৬৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
শনিবার দিনের তৃতীয় ওভারে মুশফিকুর রহিমের উইকেট পান মুস্তাফিজ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটে টেনে আনেন মুশফিক। ইনজুরি থেকে ফিরিয়ে এসে মুশফিকের ব্যাটিংটা ভালো হলো না। ২৬ বলে করেছেন ২ রান।
মুগ্ধ নিজের প্রথম ওভারেই পান উইকেট। তানভীর ইসলামকে শরীরের ওপর তাক করা বাউন্স দিয়ে ফেরান সাজঘরে। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন রকিবুল হাসান। পরের ওভারেই শহীদুলের বলে দ্বিতীয় স্লিপে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন। ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বিসিবি নর্থ জোন।
সপ্তম উইকেটে আরিফুল ও এনামুল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ৩৪ রানের জুটি গড়েন। মুস্তাফিজের দিনের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে ভাঙেন এ জুটি। এনামুল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬ রানে। পরের দুই বলে দুই উইকেট ওয়ালটনের। সুমন খান রান আউট হন শহীদুলের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। মুস্তাফিজ তাসকিনকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট পকেটে পুরেন।
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আরিফুল রান তুলে যান। তার ব্যাটে লিডের আশা দেখছিল বিসিবি নর্থ। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানীকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৫০ রানে।
ওয়ালটনের প্রত্যেক বোলার পেয়েছেন উইকেটের স্বাদ। মুস্তাফিজ ৪টি, সানী ২টি উইকেট পেয়েছেন। শহীদুল, মুকিদুল ও শুভাগত হোম পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।