ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধের উপায়
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ছিদ্রপথে তেল ও ময়লা জমে। পরবর্তীতে বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইজড হয়ে সেগুলো কালো হয়ে যায়।ত্বকের প্রাকৃতিক ছিদ্রগুলোতে কালো যে ময়লা দেখা যায় সেগুলোকে ব্ল্যাকহেডস বলে। সাধারণত নাকের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার প্রবণতা বেশি।
এক্সফোলিয়েশন মিক্সচার: বাদামী চিনি, মধু ও লেবুর রসের এক্সফোলিয়েশন মিক্সচার আপনার চিবুক ও নাকের ব্ল্যাকহেডসে ব্যবহার করতে পারেন। এক টেবিল চামচ বাদামী চিনি, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে মুখমণ্ডল পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
টি ট্রি অয়েল: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিবুক ও নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে টি ট্রি অয়েল সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। অনেক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের অন্যতম উপকরণ এই অয়েল। যেমন- সাবান ও ক্রিম। এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবেও এই তেল পাওয়া যায়।
এক টেবিল চামচ কস্তুরি হলুদ, এক টেবিল চামচ পানি অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট মুখমণ্ডলে মেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল ও চিনির স্ক্রাব: শুধু চিবুক, নাক বা মুখের আশপাশেই ব্ল্যাকহেডস ওঠে না, শরীরের অন্যান্য অংশেও তাদের আবির্ভাব হতে পারে। নিউ ইয়র্ক সিটির ডার্মাটোলজিস্ট হুইটনি বোভি বলেন, ‘ত্বকের মৃতকোষ অপসারণ করতে এক্সফোলিয়েটিং করলে ব্ল্যাকহেডসও দূর হতে পারে।’ তিনি ঘরোয়া বডি স্ক্রাব তৈরি করতে নারকেল তেল ও চিনি একত্রে মেশাতে সুপারিশ করছেন।
গ্রিন টি: না, এই চা পানে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে না। এগুলো অদৃশ্য করতে মুখমণ্ডলের ওপর গ্রিন টি রাখতে হবে। ডা. ডেন জানান, ‘গ্রিন টি ত্বকে তেলের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে এবং চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।’
এক চা-চামচ গ্রিন টি, এক চা-চামচ পানিতে মিশিয়ে ব্ল্যাকহেডসের স্থানে তিন মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ট্রিটমেন্ট সপ্তাহে দুই বা তিনদিন ব্যবহার করা যাবে।
ফেস মাস্ক: ব্ল্যাকহেডস কমাতে একটি সহজ পদক্ষেপ হচ্ছে প্রাকৃতিক ফেস মাস্ক ব্যবহার। এজন্য শুধু ডিমের সাদা অংশ ও টিস্যু প্রয়োজন হয়। প্রথমে একটি ডিমের সাদা অংশ বের করে মুখমণ্ডলের ত্বকে মেখে নিন। তারপর মুখমণ্ডলের ওপর টিস্যু বসিয়ে ডিমের সাদা অংশের আরেকটি স্তর দিন। মাস্ক ২০ মিনিট রেখে তুলে ফেলুন।