জনকল্যাণে কাজ করে যাওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিঃস্বার্থভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বলেই দেশব্যাপী উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।’ গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এবং সংসদীয় বোর্ডের যৌথ সভার শেষে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্বও করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘কোন রাজনৈতিক নেতার জন্য জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারর মত বড় আর কিছু নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন,‘ গত এক দশকে তাঁর সরকার দেশব্যাপী যে উন্নয়ন করেছে অতীতে কোন সরকার সেটা করতে পারেনি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে কেউ তার দলকে ভোট দিক বা না দিক, আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্যই সমান সুযোগ নিশ্চিত করেছে।
তার সরকার শুধু শহর নয় বরং একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে সারাদেশব্যাপী উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, দেশের কৃষক, ছাত্র, মেহনতী মানুষ সকলেই যেন উন্নয়ন ও এর সুফল পায় সে লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এর ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, উন্নয়নের এই গতিধারা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে দেশে চলমান অভিযানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি এই অভিযান অব্যাহত রাখার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
তাঁর সরকারের সাফল্য জনগণের কাছে তুলে ধরতে নেতা-কর্মীদের প্রতিও এ সময় আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য জনগণের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলে নির্বাচনে ভোট পেতে কোন সমস্যা হবেনা।’
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ ও উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।