অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থামালো লিভারপুলের জয়রথ
শেষ কবে হেরেছিল লিভারপুল? এমন প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে নাপোলির বিপক্ষে পরাজয় দেখেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এরপর থেকে অদম্য অল রেডরা। মাঝখানে ৬ মাসের ব্যবধানে সব প্রতিযোগিতা মিলে একবারও হার দেখেনি লিভারপুল।
সাউল নিগুয়েজের একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগে লিভারপুলকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এই জয়ে উড়তে থাকা লিভারপুলের জয়রথ যেমন থেমেছে একইসাথে মাদ্রিদের দলটি ইউরোপীয়ান সর্বোচ্চ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের পথেও একধাপ এগিয়ে থাকলো।
ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নিগুয়েজের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক এ্যাথলেটিকো। পুরনো ধাচের মাদ্রিদের কাছে মূলত লিভারপুলের আধুনিক ফুটবল মুখ থুবড়ে পড়ে। বিশেষ করে স্বাগতিকদের রক্ষনভাগের সামনে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ছিল একেবারেই অসহায়। একটি শটও তাদেরকে করতে দেয়নি সিমে ভ্রাসালিকো, স্টিফেন সাভিচ, ফিলিপদের নিয়ে সাজানো এ্যাথলেটিকোর শক্তিশালী রক্ষণ ভাগ।
ম্যাচ শেষে এ্যাথলেটিকোর গর্বিত কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলেছেন, ‘আজকের রাতটা সেই রাতগুলোর মধ্যে একটা যাকে ভোলা যায়না। আমরা হয়ত বড় ব্যবধানে জিততে পারিনি, কিন্তু আমরা বিশ্বের সেরা দলকে হারিয়েছি।’
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আলভারো মোরাতাকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হন সিমিওনে। তা নাহলে এ্যাথলেটিকো হয়ত দুই গোলের লিড নিয়ে আগামী মাসে এ্যানফিল্ডে খেলতে যেতে পারতো।
এদিকে লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘আমরা আজ ৫-০ গোলে হারিনি। ম্যাচটিকে আমরা মোটেই সহজভাবে নেইনি। কিন্তু যখনই ১১জন খেলোয়াড় লিভারপুলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছে তখন থেকেই তাদের সবকিছু দেয়া উচিত ছিল। আর লিভারপুলের সমর্থকদের উদ্দ্যেশে বলছি যারাই আগামী ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন তাদের সবাইকে এ্যানফিল্ডে স্বাগতম।’
লিভারপুল যদি প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত ফেবারিট হয়ে থাকে তবে এ্যাথলেটিকো সমর্থকরাও কাল শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত প্রমান করেছে তারাও কোন অংশে কম নয়। সিমিওনের দল তাদেরকে সেই বিশ্বাস এনে দিয়েছে। মূল কথা এই ম্যাচের পর আরো একবার প্রমানিত হয়েছে ক্লাব ফুটবল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসর মোটেই এক নয়। এখানে যে কেউই যেকোন সময় নিজেদের ফেবারিট দাবি করতে পারে।