নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে বিএনপি সুবিধা পাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দুঃখ হয় আমরা যারা দল করি মন্ত্রী ও এমপি হবার ফলে এখন আমাদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবো না। দুনিয়ার কোথাও এমন নিয়ম নেই। নির্বাচনী এই আচরণবিধির কারণে বিরোধী পক্ষ বিএনপি অনেক সুবিধা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, সেখানে কেন্দ্রের মন্ত্রী হোক কিংংবা রাজ্যের মন্ত্রী হোক তারা ভোটের প্রচারণা করতে পারে, এমপি, মন্ত্রীরাও সরকারি সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে ভোটের প্রচারণায় নামতে পারে। যেখান থেকে ভারতবর্ষ গণতন্ত্র শিখেছে সেই ইংল্যান্ডেও পারে।’
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের কে সি দে রোডস্থ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি আশা করবো বাস্তবতার নিরিখে ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অন্যান্য দেশকে অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন এই বিধানের পরিবর্তন করবে। ভারত, ইংল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাদ দিয়ে এমপি ও মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে। সবাই যাতে সমান সুযোাগ পায় নির্বাচন কমিশন বিধি বিধান পরিবর্তন করে সেটা নিশ্চিত করবেন।’
তিনি বলেন, বর্তমানে লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ডটা আমাদের জন্য নয়। এতে বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তাদের অনেকে কয়েকবার মন্ত্রী ছিলেন, সামাজিক মর্যাদাও এমপি মন্ত্রী থেকে কম নয়, অনেক ক্ষেত্রে বেশি। তারা ভোট চাইতে পারবেন আর আমাদের নেতারা পারবেন না এটা বৈষম্যমূলক। এই বৈষম্যের অবসান হওয়া প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএমে ভোট অত্যন্ত স্বচ্ছ ভোট। ঢাকা শহরে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম নিয়ে অনেক বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছিল বিএনপি। বিএনপির এই বিরূপ প্রচারণার কারণে ভয়-ভীতির প্রেক্ষিতে অনেকে ভোট দিতে যায়নি। কিন্তু তারাও পরবর্তীতে অনুধাবন করেছে ইভিএমে অত্যন্ত স্বচ্ছ পদ্ধতিতে ভোট হয়। এখানে একজনের ভোট আরেকজনে দেয়ার কোন সুযোগ নাই। স্বয়ং সিইসি’র যখন ফিঙ্গার প্রিন্ট নিচ্ছে না তখন সিইসিকেও ভোট দেয়ার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) আহমেদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপিসহ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুস সালাম প্রমুখ।