বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদের

রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদের 

রূপপুর

মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পর এর কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণে রাশিয়ার সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া একটি খসড়া প্রটোকল নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালযে তাঁর সভাপতিত্বে নিয়মিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের পর এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তার ব্যাপারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে চুক্তির সংশোধনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’ তিনি জানান যে ২০১১ সালের ২ নভেম্বর দু’দেশের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এরপর এখন উল্লেখিত প্রোটোকল স্বাক্ষরের যৌক্তিকতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল আরো বলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরুর পর যথাযথভাবে এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাশিয়ার সহায়তা জরুরি। কারণ বাংলাদেশের এ ধরনের কেন্দ্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই।
তিনি বলেন, রাশিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সৃষ্ট বর্জ্য বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে অপসারণ করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় পরিবেশগত নিয়ম-নীতি সম্পূর্ণভাবে পালন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণ কাজ শেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করবে।
আনোয়ারুল জানান, নৌপথ ব্যবহারকারী দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নদীপথ, ট্রানজিট এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রোটোকলটিতে দ্বিতীয় সংযোজনের খসড়াও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। দ্বিতীয় সংযোজনের খসড়া অনুযায়ী ভারতের বদরপুর, সোনামুড়া, কোলাঘাট, মাইয়া, জোগিগোপা এবং বাংলাদেশের ঘোড়াশাল, দাউদকান্দি, সুলতানগঞ্জ, আরিচা এবং বাহাদুরাবাদকে ২০১৫-এর জুনে স্বাক্ষরিত পিআইডব্লিউটি এন্ড টি রুট হিসাবে যুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় সংযোজন স্বাক্ষরিত হলে নৌপথ বাণিজ্য সহজ ও গতিশীল হবে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও প্রস্তাবিত দ্বিতীয় খসড়া সংযোজনে বিদ্যমান নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, মংলা, সিরাজগঞ্জ, আশুগঞ্জ ও পানগাঁও এর পাশাপাশি রাজশাহী, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি ও বাহাদুরাবাদকেও ‘পোর্ট অফ কল’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের অংশে, বিদ্যমান কলকাতা, হলদিয়া, করিমগঞ্জ, পান্ডু, শিলঘাট, ধুবরির পাশাপাশি ধুলিয়ান, মাইয়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া এবং জোগিগোপাকেও দ্বিতীয় খসড়া সংযোজনে ‘পোর্ট অফ কল’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ আজ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টি গঠন ও কার্যাদি সুনির্দিষ্ট করে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আইন, ২০২০’ এর নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে মন্ত্রিসভা।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone