করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য পরামর্শ
চীনের উহান প্রদেশে শুরু হলেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে গেছে সারাবিশ্ব । প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। সম্প্রতি বাংলাদেশেও ৩ জনের শরীরে এই রোগের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বের হয়নি। ফলে এ রোগ নিয়ে আতঙ্ক অনেক বেশি থাকাই স্বাভাবিক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে নিয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকা জরুরী। আমরা যে ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত, করোনাভাইরাসের আবির্ভাবে তা পরিবর্তন হতে বাধ্য। এ রোগ প্রতিরোধে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার দেয়া কিছু পরামর্শ জেনে নেয়া দরকার-
* হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত না। রান্না করার আগেও হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এসময় বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এগিয়ে যাওয়াই ভালো। বাসায় পরিষ্কার-পরিচ্চন্নভাবে রান্না করা খাবার খেতে হবে।
* মাংস রান্নার সময় ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ফলমূল ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে।
* প্রাণীর মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। এসময় পশুর হাটে না যাওয়াই ভালো। অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ এড়ানো উচিত।
* বাইরে গেলে মাস্ক পরা জরুরী। সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
* পোষা প্রাণীর লালানপালনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা জরুরী। পোষা প্রাণী অসুস্থ হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
* অপরিষ্কার হাত মুখে দেওয়া যাবে না। বাইরে থেকে আসার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। দিনে কয়েকবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রতিবার অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
* করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
* সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হলে বাইরে যতটা সম্ভব কম বের হতে হবে। এসময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
* খুব প্রয়োজন ছাড়া এখন বিদেশে না যাওয়াই ভালো।
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রোগ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও নিয়ম-কানুন মেনে চলাই আসল।