করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একযোগে লড়তে সার্ক মিনিস্ট্রিয়াল গ্রুপ প্রতিষ্ঠার আহবান রাজাপাকসের
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একযোগে লড়তে সার্ক মিনিস্ট্রিয়াল গ্রুপ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে আজ করোনা ভাইরাস নিয়ে সার্কের আট সদস্যের দেশগুলোর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, আমি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো সমন্বয় করতে সার্ক দেশগুলোর মন্ত্রীদের নিয়ে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করতে চাই।
কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে মারাত্মক ধাক্কা লেগেছে উল্লেখ করে রাজাপাকসে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি যৌথ ব্যবস্থা স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে সার্ক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি বিশেষত পর্যটন শিল্পে মারাত্মক আঘাত হেনেছে। যেহেতু বেশিরভাগ পর্যটক জার্মানি, ইতালি এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসে।
আমাদের রফতানিও বিরূপ প্রভাবিত হয়েছে। তাই আমি সার্ক নেতাদের দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করছি আমাদের অর্থনীতিকে সহায়তা করার জন্য অত্যন্ত এই কঠিন সময়টি মোকাবেলায় একটি ব্যবস্থা করতে হবে।
যদিও শ্রীলঙ্কায় জনসমাগম সীমাবদ্ধ করা হয়েছে, তবে রাজাপাকসে নিশ্চিত করেছেন করোন ভাইরাস হুমকির পরও আগামী ২৫ এপ্রিল তফসিল অনুসারে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ পর্যবেক্ষণের জন্য কোয়ারেন্টাইনিং, পরীক্ষা ও সামাজিক দূরত্বসহ সকল উদ্যোগ নিতে সার্বক্ষণিক হটলাইনযুক্ত একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, স্কুলগুলোতে আগাম ছুটি দেয়া হয়েছে, সামাজিক মেলামেশা হ্রাস করতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট বন্ধ রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় করোনা ভাইরাসের প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে একজন চীনা মহিলা পর্যটক থেকে, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং এখন শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেছেন।
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করে এমন প্রচুর শ্রীলঙ্কান ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের দেশে ফিরে আসতে বাধা দেয়া যায় না।
রাজাপাকসে বলেন, ফিরে আসার পর তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চীনের বিভিন্ন প্রদেশে অধ্যয়নরত ৭৫০ জন শ্রীলঙ্কার শিক্ষার্থী দেশে ফিরেছেন এবং তাদেরও আলাদা করে রাখা হয়েছে।