রাষ্ট্রপতি গভীর রাতে আতশবাজি ও লেজার শো প্রত্যক্ষ করলেন
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসাবে গভীর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত আতশবাজি, ফিক্সেল ম্যাফিং, ভিডিও স্ক্রিন এবং লেজার শো প্রত্যক্ষ করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাত ১১টা থেকে ভোর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এবং হাতিরঝিলে মুজিব বর্ষ উদযাপনের স্পটগুলো পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি প্রথমে জাতীয় প্যারেড গ্র্যাউন্ডে যান। এখানে ‘মুক্তির মহানায়ক’ শিরোনামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী রাষ্ট্রপতিকে অর্ভ্যথনা জানান।
রাষ্ট্রপতি তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণকে সঙ্গে নিয়ে মুজিব বর্ষের লেজার শো ও মুজিব বর্ষের থিম সঙ্গিত উপভোগ করেন। এতে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও বঙ্গবন্ধু’র ছোট কন্যা শেখ রেহানা সঙ্গীতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি পরে গভীর রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং জাতীয় সংসদের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্রপতি নগরীর হাতিরঝিলে আতশবাজি, পিক্সেল ম্যাপিং, ভিডিও স্ক্রিনিং এবং লেজার শো উপভোগ করেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এখানে রাষ্ট্রপতিকে অর্ভ্যথনা জানান। রাষ্ট্রপতি সুন্দর ও আধুনিক লেকের দক্ষিণাংশে ডিএনসিসি আয়োজিত চোখ ধাধাঁনো আতশবাজি উপভোগ করেন।
রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল শামিম-উজ-জামান এবং প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অন্যান্য টিভি চ্যানেলে প্রচারিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ‘মুক্তির মহানায়ক’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম নেয়ার সময়ে দু’ঘন্টা ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে আতশবাজি ফোটানো শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১’শত শিশু জাতির পিতাকে উৎসর্গ করে জাতীয় সঙ্গীত এবং ধন্য মুজিব ধন্য সঙ্গীত পরিবেশন করে।