করোনাভাইরাস নিয়ে মাশরাফির সচেতনতার বার্তা
করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়তই বাড়ছে এই ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা। এ অবস্থায় যে যেখান থেকে পারছেন সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। দূর থেকে হলেও, করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতন করে সর্তক করছেন অনেকে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বাংলাদেশের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেইজে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেন মাশরাফি। সাথে একটি ছবিও আপলোড করেছেন তিনি। ছবিটি ক্রিকেটপ্রেমিদের কাছে বেশ পরিচিত।
২০১৬ সালের পহেলা অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের ২৯তম ওভারের তৃতীয় বলের আগে এক দর্শক মাঠে প্রবেশ করে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরেন। জড়িয়ে ধরার সেই ছবিটি দিয়ে মাশরাফি করোনাভাইরাস নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মাশরাফি লিখেছেন, ‘না, এভাবে কাছে আসা যাবে না! না, নিজের পরিচিত কিংবা দূরের কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না!
যা করা যাবে : নতুন করোনভাইরাস রোগ সম্পর্কে কথা বলুন (কোভিড-১৯)।
যা করা যাবেনা : রোগের সাথে এর ভৌগলিক অবস্থান বা জাতিসত্তা সংযুক্ত করা যাবে না। মনে রাখবেন, ভাইরাসটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, জাতি বা বর্ণের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে না।
যা করা যাবে: কোভিড-১৯ আছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ এর জন্য চিকিৎসা গ্রহন করছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন এমন লোক সম্পর্কে বা কোভিড-১৯ সংক্রমনের পরে মারা যাওয়া লোক সম্পর্কে কথা বলা যাবে।
যা করা যাবেনা : এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এর “শিকার” হিসাবে উল্লেখ করা যাবেনা।
যা করা যাবে : কোভিড-১৯ ব্যক্তিদের সংক্রমনের বিষয়ে কথা বলুন।
যা করা যাবেনা : কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকেরা “অন্যকে সংক্রামিত করে” বা “ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়া- এসব বলা যাবে না কারণ এটি ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্রমণ ছড়ানো বোঝায় এবং দোষ চাপিয়ে দেয়।
যা করা যাবে: বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সর্বশেষ অফিসিয়াল স্বাস্থ্য পরামর্শের উপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি সম্পর্কে সঠিকভাবে কথা বলুন।
যা করা যাবেনা : অসমর্থিত গুজবের পুনরাবৃত্তি এবং আতঙ্ক ছড়ায় এমন ভাষা ব্যবহার করা যেমন “প্লেগ”, “অ্যাপোক্যালিপস” ইত্যাদি।
যা করা যাবে : ইতিবাচকভাবে কথা বলুন এবং হাত ধোয়া সম্পর্কিত টিপস অনুসরণ করে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর জোর দিন। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এটি এমন একটি রোগ যা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। নিজেকে, প্রিয়জনদেরকে এবং সবচেয়ে দূর্বলকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সকলেই নিতে পারি এমন সহজ পদক্ষেপ।