গৃহবন্দী থেকেও ফিটনেস নিয়ে ব্যস্ত মুশফিক
করোনাভাইরাসের সংক্রমনে দিশেহারা পুরো বিশ্ব। বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনেও এর প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক-ঘরোয়া সব ধরনের খেলাধুলাই স্থগিত। তাই বাসায় বন্দি রয়েছেন বিশ্বের সকল খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাসায় বন্দি অবস্থায় পরিবারের সাথে নিজের মত করে সময় কাটাচ্ছেন অনেকে। তবে এর মাঝে কিছুটা ব্যতিক্রম বাংলাদেশের টেস্ট-ওয়ানডে ও টি-২০র সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। গৃহবন্দী থেকেও ফিটনেস নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মুশফিক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফাইড পেইজে নিজের ফিটনেস নিয়ে ব্যস্ত থাকার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মুশফিক। ২১ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজেকে ফিট রাখার জন্য ট্রেডমিলে দৌঁড়াচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে, সম্প্রতি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে করোনাভাইরাস নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন মুশফিক। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দু’টি পরামর্শ দেন তিনি। মুশফিক বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সব খেলাধুলা বন্ধ করা হয়েছে। অনান্য দেশের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকজনকে বাংলাদেশেও চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দু’টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, হাত ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্বিতীয়ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অর্থাৎ খুব জরুরি না হলে ভিড় বা জনসমাগম এড়িয়ে চলা।’
বিদেশ ফেরত প্রবাসিদের অনুরোধও করেছেন মুশফিক, ‘বিদেশ থেকে আসা ভাই-বোনদের প্রতি অনুরোধ। আপনারা নিজের পরিবার ও দেশের সবার সুস্থতার জন্য কমপক্ষে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকুন। মনে রাখুন আপনি শুধু আপনার জন্য নয়, নিজের সন্তান, পরিবার, পাড়া প্রতিবেশী এবং দেশের সকল মানুষের জন্য নিজেকে সচেতন রাখুন আর দয়া করে এখন কেউ একসাথে বাইরে ঘুরতে বের হবেন না। এই সময় বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় যেকোনো তথ্যের বিষয় সতর্ক থাকবেন। অনেকেই ভুল অথবা মিথ্যে তথ্য ছড়াতে পারে। গুজবে কান দেবেন না। আমি নিজে এবং পরিবারের সচেতনতার জন্য এখন বাসায় অবস্থান করছি। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছি না। যতটুকু সম্ভব সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকেও সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন। মনে রাখবেন আমার হাতেই আমার সুরক্ষা।’