মোস্ট ওয়েলকাম থ্রি আনছেন অনন্ত জলিল
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অনন্ত জলিল। তাকে বলা হয় ডিজিটাল যুগের প্রথম নায়ক। অভিনয়, উচ্চারণ, লুক নিয়ে অনন্ত শুরুর দিকে হাসির পাত্র হলেও তার সিনেমায় হলিউডি ধাঁচের অ্যাকশন, ভিএফএক্স চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল দর্শকের।
এরপর নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি ধীরে ধীরে। পাকা ব্যবসায়ী থেকে সিনেমার নায়ক হতে আসা অনন্ত ক্রমেই স্টার থেকে সুপারস্টারে পরিণত হন। ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঢালিউডের চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। প্রায় এক দশকের যাত্রায় এই নায়ক উপহার দিয়েছেন ছয়টি ব্যবসাসফল সিনেমা।
তার মধ্যে ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মোস্ট ওয়েলকাম’টির ব্যবসা ছিল উল্লেখ করার মতো। সেই সাফল্যের প্রেরণায় ২০১৪ সালের কোরবানি ঈদে মুক্তি পায় ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’। আগের পর্বটির মতো দ্বিতীয়টিও দারুণ ব্যবসা করতে সক্ষম হয়। ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমা দিয়ে পরিচালক হিসেবে যাত্রা করা অনন্তর পরিচালনায় দ্বিতীয় সিনেমা ছিল ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’।
নতুন খবর হলো, অনন্ত এবার ভক্তদের উপহার দিতে চলেছেন ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমার তৃতীয় কিস্তি। চলতি বছরেই মাঠে নামবেন তিনি ‘মোস্ট ওয়েলকাম থ্রি’ নির্মাণের জন্য। নায়কের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।এদিকে, দীর্ঘ ছয় বছরের বিরতি কাটিয়ে অনন্ত ফিরছেন ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘দিন-দ্য ডে’ নিয়ে। এখানে স্ত্রী বর্ষার বিপরীতে হাজির হবেন তিনি।
এটি পরিচালনা করছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। আসছে কোরবানি ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা। এরই মধ্যে এটির ট্রেইলার মুক্তি পেয়েছে। সেখানে জমজমাট এক গল্পের আভাস পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আন্দাজ করা গেল ‘দিন দ্য ডে’ হবে অ্যাকশানে ভরপুর এক সিনেমা। এতে থাকবে হলিউডি আমেজও। সিনেমাপ্রেমীদের নজর কেড়েছে ২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ট্রেইলার। প্রশংসায় ভাসছেন এই অভিনেতা। আলোচনায় এসেছে অনন্ত জলিলের সংলাপ, ‘বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হতে পারে, বাংলাদেশের বুকে অনেক জায়গা। বাংলাদেশ মানুষকে ভালোবাসতে পারে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে পারে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন, আদম পাচার, মাদকের উৎপাদন, আধিপত্য, চোরাচালানের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘দিন-দ্য ডে’ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশ ও ইরানে মুক্তির লক্ষ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছে যৌথ প্রযোজনায়। গল্পের প্রয়োজনে নতুনত্ব আনাসহ যতটা বাস্তবভাবে দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তোলা যায় সে লক্ষ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিনেমাটির শ্যুটিং করা হয়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক একটা ফিল আনতেই ‘দিন-দ্য ডে’ টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, জানান অনন্ত জলিল।