পশ্চিমবঙ্গে আম্পানের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবাংলায় আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরে এটি ঘূর্নিঝড় হিসেবে বাংলাদেশে চলে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কয়েক হাজার গাছ, কুড়েঘর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
এদিকে এদিন পশ্চিববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে রাজ্যে ৭২ জনের প্রাণ হানি হয়েছে।যার মধ্যে ১৭ জন কলকাতার।
এর আগে বুধবার রাত ৯ টার দিকে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায়, পশ্চিম বাংলা ও ওড়িশ্যার জন্য যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন। মোদি বলেন, চ্যালেঞ্জের এই সময় পশ্চিম বাংলার সঙ্গে গোটা ভারতবাসী সংহতি প্রকাশ করছে।
এদিকে দেশটির জাতীয় দুযোর্গ ব্যবস্থপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, সরকারের সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত বাইরে না যেতে পরামর্শ দিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বিহারে বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাস বইছে। এ ছাড়া অরুনাচল, আসাম ও মেঘালয়ের বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন এলাকায় বজ্রপাত ও ঝড়ো বাতাস বইসে।
পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মঙ্গলবার রাত থেকে রাজ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি আম্পানের ধ্বংসের প্রভাব করোনার চেয়ে বেশি ভয়াবহ উল্লেখ করেন। রাজ্যে ১ লাখ কোটি রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে রাজ্যে ৭২ জন মানুষ মারা গেছেন।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, আম্পানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।