‘বিশ্বের সকল শক্তি একত্রিত হলেও ইরানি জনগণকে পরাজিত করতে পারবে না’
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ১৯৮২ সালের ২৩ মে ইরানি যোদ্ধারা তাদের দেশের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল। ১৯৮০’র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এই দিনে আগ্রাসী ইরাকি বাহিনীর হাত থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী খোররামশাহর পুনরুদ্ধার করেছিল তেহরান। ইরানে দিনটিকে ‘প্রতিরোধ, আত্মোৎসর্গ ও বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রুহানি আজ শনিবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোররামশাহর পুনরুদ্ধারের বার্ষিকীতে দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ইরানি জনগণ এই দিন প্রমাণ করেছে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সকল শক্তি সম্মিলিতভাবে সর্বাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়েও যদি আগ্রাসন চালাতে আসে তাহলেও তারা এদেশের জনগণকে পরাজিত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে শুধু ইরাকের সাদ্দাম বাহিনী একা যুদ্ধ করেনি বরং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের তৎকালীন দুই পরাশক্তি ইরাককে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু তারপরও তারা ইরানি যোদ্ধাদের পরাভূত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রুহানি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।