থ্রিজিতে গতি টেলিটকের গ্রাহকে
ডেস্ক রিপোর্ট : টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান শুক্রবার বলেন,জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে।
গ্রাহক সংখ্যা থেকে পিছিয়ে পড়া টেলিটকের এই অগ্রগতিতে প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে থ্রিজি সেবা- এমনটি মনে করছেন তিনি।
২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর টেলিটকের থ্রিজি পরীক্ষামূলক সেবা উদ্বোধনের সময় এই অপারেটরদের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৪ লাখের কাছাকাছি।
বিটিআরসি’র হিসাবে, গত বছরের ডিসেম্বর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ২২ হাজার।
বেসরকারি অপারেটরদের থেকে প্রায় এক বছর আগে থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক থ্রিজি সেবা দেয়ার সুযোগ পায়।
ইতোমধ্যে দেশের সব বিভাগীয় শহরে এবং ১৬টি জেলায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করে সেবা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, “চলতি বছরের মধ্যে আরো ১০টি জেলায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করা হবে।”
গত সেপ্টেম্বরে তরঙ্গ নিলামের পর বেসরকারি অপারেটররা রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে থ্রিজি সেবা চালুর কাজ শুরু করে।
বিটিআরসি’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেসরকারি অপারেটরদের থ্রিজি লাইসেন্স দেয়ার পর গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ কোটি ১০ লাখের বেশি মোবাইল ফোন গ্রাহক ছিল।
গত ডিসেম্বর শেষ নাগাদ এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ কোটি ৩৭ লাখের বেশি।
বিটিআরসি বলছে, থ্রিজি শুরুর পর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪ কোটি ৭১ লাখ, বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ৮৮ লাখ হয়েছে।
এছাড়া রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ৫৩ লাখ এবং এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা ৩ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮২ লাখ ৬৯ হাজার হয়েছে।
একই সময়ে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ লাখ।
কিন্তু একই সময়ে দেশের একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা খুব বেশি বাড়ে বা কমেনি।
বিটিআরসি’র তথ্যানুযায়ী, গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ সিটিসেলের গ্রাহক ছিল ১৩ লাখ ৬১ হাজার।
সংস্থাটি বলছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫৭ লাখ, যার মধ্যে ৩ কোটি ৪২ লাখ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে।