বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষার পরে আবারো যাত্রা শুরু হলো বাঙালির কাঙ্ক্ষিত প্রাণের বইমেলার। শনিবার বিকাল চারটা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে মেলা। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল আটটা থেকে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রফেসর এমেরিটাস আনিসুজ্জামানের সভাপত্বি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এনডিসি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, কবি সাহিত্যিক রাজনীতিবিদসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন।
অমর একুশের ভাষাশহীদদের স্মরণে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার এবারের মেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে ভাষাসৈনিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে।
একাডেমি সূত্রে জানানো হয়েছে, গ্রন্থমেলায় মোট ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশেই রয়েছে মূলধারার প্রকাশনা সংস্থাগুলো। উদ্যানে ২৩২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪৩২টি ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ২৪টি শিশু-কিশোরদের বইয়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে জায়গা পেয়েছে ৫৫টি লিটল ম্যাগাজিন। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা থেকে কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশিত বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখা যাবে। মেলায় বাংলা একাডেমির প্রকাশনা ৩০ শতাংশ কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনা ২৫ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হবে।
এবারই প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের বাইরে সম্প্রসারিত হলো বইমেলার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও বিস্তৃত হবে এই মেলা।