আমেরিকার বিক্ষোভের আগুন এবার নিউজিল্যান্ডে
বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা আমেরিকা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার দেশের গণ্ডিও ছাড়িয়েছে এই প্রতিবাদ। বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে দূর দেশ নিউজিল্যান্ডের শহরগুলোতেও।
তবে করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব অমান্য করে এমন বিক্ষোভ প্রদর্শনের সমালোচনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। অবশ্য ‘ব্ল্যাক লিভস ম্যাটার” ব্যানারে বিক্ষোভ করাদের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেছেন এই মধ্যপন্থী বাম রাজনীতিক।
ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে অকল্যান্ডে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানায় তারা।
করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা নিউজিল্যান্ডে এমন জনসমাগমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন। তার মতে, এমন সমাবেশ থেকে ফের করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
“আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।… এই সমাবেশে যদি কেউ করোনাভাইরাস বহনকারী থেকে থাকে, তখন চিন্তা করুন কী ঘটতে পারে।”
নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৫৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় গত মাসে সাত সপ্তাহের লকডাউন তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি এখনও বহাল আছে। জনসমাগম ১০০ জনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন পিটারর্স, “কিছু মানুষ মনে করে তারা আইনের ঊর্ধ্বে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়।”