জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু
অবশেষে চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল। জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে লন্ডন ও কাতারে এ ফ্লাইট শুরু হবে।
সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সচিব বলেন, “জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আমরা আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করব। প্রথমে আমরা লন্ডনে যাত্রা করব।”
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো.মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। তবে কবে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে সেই সময়টা আমরা পরে জানিয়ে দেব।”
ফ্লাইট চালানোর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি কঠোর শর্তজুড়ে দেয়া হচ্ছে। শর্ত ভঙ্গ করলে ফ্লাইট বাতিল করা হবে। ফ্লাইট চালানোর সময় যাত্রী ও বিমান কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীদের আসন বণ্টন করবে কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে ভাড়াও বাড়বে। লন্ডন ও কাতার রুটে প্রথম ফ্লাইট চলবে। এরপর সব রুট খুলে দেয়া হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে দীর্ঘ ছুটি থাকলেও আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে আইকাও গাইডলাইন অনুযায়ী সীমিতাকারে ফ্লাইট চালুর সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে ঢাকায় আইকাওর সঙ্গে যুক্ত ব্রিফিং হয়েছে। এতে করোনা পরিস্থিতির মাঝে পুনরায় বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী অনলাইন সভায় করোনা পরিস্থিতিতে নেয়া পদক্ষেপ মোকাবেলা পদ্ধতি পরিস্থিতির উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্য ও কাতারে ফ্লাইট চলাচলের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। দুই দেশের দুটির অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজ দোহা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাচ্ছে। তবে কাতারে কোনো বাংলাদেশি যাত্রী যেতে পারবেন না। করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে থাকায় সেখানে বাংলাদেশিদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, ফ্লাইট চালু হওয়ার পর কঠোর বিধিবিধান মানতে হবে যাত্রী ও বিমান সংস্থাকে। ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীর করোনা নেগিটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এছাড়া শরীরে তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকলে তার যাত্রা বাতিল হয়ে যাবে।
বিমানবন্দরের টার্মিনালে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। প্রতিটি ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস নেয়ার পর নির্ধারিত এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে।