মোবাইল সেট উৎপাদনে মূসক অব্যাহতি আরও ১ বছর
অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট। বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের উপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে বিদ্যমান মূসক সুবিধা আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
মহামারি করোনা ভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
জনস্বার্থ ও দেশিয় শিল্পের বিকাশের জন্য মূসক হার পরিবর্তন ও অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের উপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে মূসক বিদ্যমান রয়েছে। উক্ত অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। দ্রুত বর্ধনশীল এ খাতের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উক্ত সুবিধা আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন। এ শিল্পে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেলুলার ফোন উৎপাদন উৎসাহিত করা ও সংযোজন শিল্প প্রসারে উক্ত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা আরও বিনিয়োগ বান্ধব ও যৌক্তিকীকরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, এ শিল্পের প্রতিরক্ষণ এবং আমদানি পর্যায়ে সঠিক মূল্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে যথাযথ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যে সেলুলার ফোনের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
বর্তমানে দেশে আটটটি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন করছে।