ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়
মধ্যম ক্যাটাগরির ১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটু্আই) প্রোগ্রাম প্রকাশিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এপ্রিল, ২০২০ সময়ে শিল্প মন্ত্রণালয় এই স্থান দখল করেছে।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, শুধু মধ্যম ক্যাটাগরি নয়, সকল ক্যাটাগরির মোট ৫৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ (বড় ৮টি, মধ্যম ১৫টি, ছোট ৩৫টি) এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ই-নথিতে সর্বোচ্চ কার্যক্রম হয়েছে। পাশাপাশি ই-নথি ব্যবস্থাপনায় ছোট ক্যাটাগরির ১৮৫ টি সরকারি দপ্তর/ সংস্থার মধ্যে এপ্রিল, ২০২০ মাসে প্রথম স্থানে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি ২০২০ এবং মার্চ ২০২০ মাসেও ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় মধ্যম ক্যাটাগরির ১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাদান প্রক্রিয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয় শুরু থেকে এগিয়ে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোতে ভার্চুয়াল কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ের মতো সকল কাজ চলেছে। রুটিন মাফিক সব ধরণের পূর্ব নির্ধারিত সভা, মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা (এপিএ), কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কর্মপরিকল্পনা (আইএপি) এবং এসএমই পলিসি সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির সভা, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি ছুটিকালীন শিল্প মন্ত্রণালয় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মোট ৩২ সভা ও ৪টি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করেছে। এছাড়া, সরকারি ছুটিকালীন সময়ে ৫১টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সবার আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) তৃতীয় ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এপিএএমএস সিস্টেমে দাখিল করেছে।
ধারাবাহিক মনিটরিং, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এবং উদ্বুদ্ধকরণের ফলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ই-নথি ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল সেবাদান প্রক্রিয়ায় এ ধরণের সাফল্য এসেছে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সেবাদান প্রক্রিয়া গতিশীল হয়েছে এবং কাজের পরিমাণ বেড়েছে। সেবা গ্রহীতারা এখন দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন।