ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরেও শীর্ষেই বার্সা
স্পোর্টস ডেস্ক : পেনাল্টিতে গোল করেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি মেসি। হতাশা তাই ঠিকরে বের হচ্ছিল বার্সা তারকার চোখে-মুখে। ছবি: রয়টার্স।গত কদিন মাঠের বাইরে নেইমারের দলবদল-বিতর্কে টালমাটাল বার্সেলোনা। তবে কি মাঠেও সেটির প্রভাব পড়ল? আজ ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ৩-২ ব্যবধানে হারল বার্সা। অবশ্য এ পরাজয়ের পরও ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষ স্থান অটুট রেখেছে জেরার্ডো মার্টিনের দলের। তবে পয়েন্ট টেবিলে নিঃশ্বাস দূরুত্বে দাঁড়ানো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ থেকে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে বার্সা। ফলে আগামীকাল রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে অ্যাটলেটিকো জিতলেই শীর্ষ স্থান হারাতে হবে বার্সাকে।
অথচ আজ শুরুটা কি দারুণই না করেছিলেন মেসি-জাভিরা! ম্যাচের সাত মিনিটে মেসির সহায়তায় অসাধারণ এক গোল করেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। এরপর ৪৪ মিনিটে আলগা রক্ষণভাগের সুযোগে ভ্যালেন্সিয়ার দানি পারেয়ো বল জড়িয়ে দেন বার্সার জালে।
বিরতির পর, ৪৮ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার পাবলো পিয়াত্তির দুর্দান্ত এক হেডে আবারও বার্সার জালে বল! ২-১ পিছিয়ে থাকার পর ৫৩ মিনিটে রিকার্ডো কস্তার বিতর্কিত হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পেয়ে যায় কাতালানরা। পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেননি মেসি। ৫৪ মিনিটেই খেলায় সমতা ফেরান বার্সা ফরোয়ার্ড। এর পাঁচ মিনিট পরেই বার্সার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ভ্যালেন্সিয়ার পাকো আলকাসার। ৪৪ থেকে ৫৯— এ ১৫ মিনিটে বার্সাকে হজম করতে হয়েছে উল্লিখিত তিনটি গোল।
ন্যু ক্যাম্পে আজ বার্সার চিরায়াত সেই সৌন্দর্য খুব একটা খুঁজে পাওয়া গেল না। রক্ষণভাগের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল বারবার। সঙ্গে স্বভাববিরুদ্ধ দৃষ্টিকটু ফাউল করেছে মার্টিনোর দল। পুরো খেলায় ভ্যালেন্সিয়া ফাউল করেছে ৮টি, বার্সা সেখানে ১৮টি! ৭৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে জর্ডি আলবাকে মাঠ ছাড়তে হয়। ১০ জনে পরিণত হওয়া বার্সা ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দু’একটা চেষ্টা চালালেও সেগুলো সাফল্যের মুখ দেখেনি।