দেশী শিল্পকে বাঁচাতে স্টিল বিল্ডিং পণ্যের শুল্কমুক্ত আমদানি বন্ধ চান ব্যবসায়ীরা
প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানি বন্ধ ও সরকারি বৃহৎ প্রকল্পের টেন্ডারে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসবিএমএ)।
রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রবিবার নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এসবিএমএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে এক অসম প্রতিযোগিতা চলে আসছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারে কাস্টমস কর দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করলেও বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনাশুল্কে তৈরি পণ্য আমদানি করছে। শুধু তা-ই নয়, আমদানিকৃত শুল্কমুক্ত পণ্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব বোর্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিক্রিও করছে বাজারে। ফলে প্রতিযোগিতায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি জওহর রিজভী বলেন, স্টিল বিল্ডিংয়ে দেশীয় অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও সরকারি কোনো টেন্ডারে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ শিল্পের বিকাশে সরকারি সব টেন্ডারে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
পাশাপাশি এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাস্টমস কর কমানো প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান তিনি।
এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে আরও প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি হয়। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পের কাঁচামাল গত ডিসেম্বর থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় এ শিল্প ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আট লাখ মানুষ জড়িত।