অটোমোবাইল খাতের খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি এক বছর শুল্কমুক্ত করার দাবি বামা নেতাদের
চলতি অর্থবছরে সব ধরনের অটোমোবাইল খাতের খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্কমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বামা) নেতারা। মঙ্গলবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বামার সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, কভিড-১৯ মহামারির কারণে ডলারের সংকট তৈরি হবে এবং এ কারণে নতুন গাড়ি আমদানিতে বিঘ্ন ঘটবে। তাই বাংলাদেশের চলমান গাড়িগুলোই যাতে আগামী দুই থেকে তিন বছর চলতে পারে সেজন্যে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত করার দাবি জানাই।
মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ২০২০ সালকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বছর ঘোষণা করেছেন, তখন চীন ও ভারত থেকে আসা লাইট ট্রাকগুলোকে পিক আপ বলে ভুল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। অবিলম্বে দেশের স্বার্থে এটা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে বিআরটিএ কর্তৃক পিকআপের সঠিক সংজ্ঞায়নের দাবি করেন তিনি।
কভিড ১৯ মহামারির কারণে তিনমাসে অটোমোবাইল খাতে আনুমানিক ছয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বামার সাবেক সভাপতি ও রানার গ্রপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।
গ্রামীণ জনপদের পরিবহনের ক্ষেত্রে থ্রি হুইলারের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি এগুলোর রেজিস্ট্রেশন উন্মুক্ত করার কথা বলেন। এতে সরকার প্রতি বছর শুল্ক, কর ও ভ্যাট বাবদ ২ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল মাতলুব আহমাদ বাংলাদেশে শিগগিরই ইলেকট্রিক কার তৈরি করতে পারবে বলে আশা করেন। এ ব্যাপারে বিডা এখন আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক বলেও জানান তিনি।