পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব না বাড়াতে ইসরায়েলকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি
গোটা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় নেই বিশ্ববাসীর। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। তারা অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যাকায় তাদের দখলদারিত্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে।
তবে বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় ইসরায়েলকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করার আহব্বান জানান। আর তারা যদি সেটা করে তাহলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ফিলিস্তিনসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে সমঝোতার বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল সেটিও হুমকির মুখে পড়বে।
গুতেরেসের এমন প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্বনেতা ও বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা একটি চরমমুহূর্ত পার করছি। এমন সময়ে ইসরায়েল যদি পশ্চিম তীরে তাদের দখলদারিত্ব বৃদ্ধি করে, বসতি স্থাপন করে তাহলে সেটা হবে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। যেটা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে ‘টু স্টেট’ সমাধানের সম্ভাবনাকে। দুটি দেশের মধ্যে সমঝোতার যে সম্ভাবনা সেটির গোড়া কেটে দেবে। তাই আমি ইসরায়েলের সরকারকে বলব তাদের দখলদারিত্ব ও অন্তর্ভূক্তির পরিকল্পনা বাদ দিতে।’
গেল মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছেন৷ আগামী কয়েক মাসে ওই পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নে নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেনি গান্তাজের সঙ্গে যৌথ সরকার গঠনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরও করেছেন৷
অথচ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীর ও পশ্চিম জেরুজালেম অধিকৃত এলাকা। সেখানে পরিকল্পিত দখলদারিত্ব ও অন্তর্ভূক্তি অবৈধ। সেটা অমান্য করে সম্প্রতি ইসরায়েল সরকার পরিকল্পনা করেছে তাদের বসতি স্থাপন বৃদ্ধির।
এখন দেখার বিষয় জাতিসংঘের এই অনুরোধ রাখে কি না ১৯৬৭ সাল থেকে দখলদারিত্ব বৃদ্ধি করে চলা ইসরায়েল। সূত্র: আল-জাজিরা