লাল-সবুজের পতাকাবাহী বিমানে পর্তুগালে ফিরলেন ২২০ প্রবাসী বাংলাদেশি
নানা ধরনের বাধা আর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত ২২০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি লাল-সবুজের পতাকাবাহী বিমানে পর্তুগালে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ বিমানের ড্রীমলাইনের ৭৮৭ এর (বিজি-৪১২৯ নম্বর ফ্ল্যাইট) বিশেষ বিমানটি লিসবনের হামবের্তো ডেলগাডা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কথা বিবেচনায় পর্তুগাল সহ বহিঃবিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বিমানসহ যাত্রীবাহি সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে অনেক প্রবাসীগণ ছুটিতে বাংলাদেশ গিয়ে আটকে পড়েন। যার ফলে অনেক প্রবাসী তাদের রেসিডেন্ট পারমিটে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এসব আটকে পড়া প্রবাসীদের পর্তুগালে ফেরৎ আসতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং কয়েকজন প্রবাসীর সহযোগিতায় বিমান বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিশেষ এই ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে।
২৪ জুন বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও লিসবন বিমানবন্দরে ফ্লাইট নামার অনুমোদন না পাওয়ায় সঠিক সময় তা ছেড়ে যেতে পারেনি। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতাসহ বারবার সময় পরিবর্তন করে অবশেষে ২৫ জুন দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লিসবনের উদ্দেশে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।
লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এবং দূতালয় প্রধান আবদুল্লাহ আল রাজি ফ্লাইটের বিলম্ব নিয়ে বলেন, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য আমরা দুঃখিত। তবে পুরো প্রক্রিয়ার শুরুতেই আমরা পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কূটনৈতিকভাবে আবেদন করি এবং তারা তাদের ইমিগ্রেশনের নিকট উক্ত যাত্রীদের ভিসা ও রেসিডেন্ট পারমিট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠায়। সেখান থেকে সব যাচাই-বাছাই হওয়ার পর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি–সম্পর্কিত সতর্কতা নিশ্চিত হওয়ার পর ফ্লাইট–সংশ্লিষ্ট সব বিষয় অনুমোদন করে। সারাদিন খুব কষ্টের মধ্যে পার করলেও রাতের মধ্যেই বিমানে চড়ে ঢাকা ছাড়তে পেরে তাদের সব কষ্ট মুছে যায়। তবে ২২৫ জন প্রবাসী ফেরার কথা থাকলেও ৫ জন যাত্রী টিকিট ক্রয় করার পরও উক্ত বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়তে পারেননি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায়।
পর্তুগালে ফেরত আসা প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীদের স্বাগত জানানোর জন্য পর্তুগালে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী ও তার সহধর্মিণী, তৃতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান আবদুল্লাহ আল রাজি, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা–কর্মচারী, স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা লিসবন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। সব প্রতিকূলতার অবসান ঘটিয়ে পর্তুগালে ফিরতে পেরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।