করোনাকে হারাতে ঘরে বসেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর উপায়
একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সূর্যালোক এবং সুষম খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে তা কিডনি ও হার্টের ক্ষতি করতে পারে।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হয়ে চলছে আনলক ওয়ান পর্ব। তবু এক জায়গায় অনেক মানুষের জমায়েত বা অকারণে বাড়ির বাইরে বিনাকারণে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় সংক্রমণ এড়াতে যেমন ঘরে থাকা প্রয়োজন, তেমনই দরকার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন হাড় মজবুত করার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে। ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস হল সূর্যালোক। কিন্তু বাড়ির বাইরে না বের হলে গায়ে রোদ লাগবে কী করে? তাই এই সময় শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি :
শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিলে তার একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে আমাদের দেশের ৭০-৯০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি’র অভাবে ভোগেন। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ক্যানসার, হাইপারটেনশন এবং ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঘরে বসে কী ভাবে ভিটামিন ডি বাড়াবেন দেখে নিন।
রোদ লাগান :
প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন। সুষম আহার ও সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বাড়ির বাইরে না বের হলেও বারান্দায় বসে দিনে অন্তত আধঘণ্টা হাত, পা ও মুখে রোদ লাগান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে রোদ লাগাতে হবে। ছাদে বসেও গায়ে রোদ লাগাতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ খান :
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় টুনা, স্যালমন, সার্ডিনের মতো মাছ অবশ্যই রাখবেন। এছাড়া রোজ ডিমের কুসুম ও দুধ খাবেন। অরেঞ্জ জ্যুস, মাশরুম, সেরালও খাদ্যতালিকায় রাখা খুব প্রয়োজনীয়। এই সব খাবার রোজ খেলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হবে না।
কড লিভার অয়েল :
আপনি যদি মাছ খেতে ভালো না বাসেন, বা মাছের গন্ধ যদি সহ্য করতে না পারেন তাহলে প্রতিদিন কড লিভার অয়েল খান। প্রতিদিন এক চামচ করে কড লিভার অয়েল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যায় না। এক চা চামচ কড লিভার অয়েল আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৫৬ শতাংশ ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।
ভেগান ডায়েট :
যারা ভেগান ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া করেন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ভেগানরা অ্যানিম্যাল প্রোডাক্ট খান বা বলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আপনারা সয় মিল্ক, আমন্ড মিল্ক খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে গেলে কিডনি ও হার্টের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-র থেকে কিডনিতে স্টোন হতে পারে। তাই আপনার কতটা ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন তা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন।