মানবপাচার বিষয়ক মার্কিন প্রতিবেদন, বাংলাদেশের অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বৈশ্বিক মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। এই বছরের প্রতিবেদনে ‘টায়ার-টু ওয়াচ লিস্ট’ থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের চলতি বছরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ প্রকাশিত হয়।
গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ‘টায়ার-টু ওয়াচ লিস্টে’ ছিল। সেবারসহ ওয়াচ লিস্টে বাংলাদেশ ছিল টানা তৃতীয়বারের মতো। এ বছর সেই ওয়াচ লিস্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এ বছরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সুখবর। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আরও এক ধাপ নিচে যাই, অর্থাৎ টায়ার থ্রিতে চলে যাই, তাহলে আমরা নানা সমস্যায় পড়ে যাবো। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা, ঋণ সুবিধা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে যেত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার প্রতিরোধে সচেষ্ট। আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি। সাতজন বিচারক এই ট্রাইবুনালে নিযুক্ত রয়েছেন। গত বছর ৪০৩টি মানবপাচার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২টি মামলা আমরা প্রসিকিউট করি। ২৫ জনের সাজা হয়। মানবপাচারে জড়িত থাকার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৬২টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স সাসপেন্ড করে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি লিবিয়ায় মানবপাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার অনুরোধ, আপনার সন্তানকে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। আর মানবপাচারে জড়িত অসাধু চক্র ও রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে সহায়তা করুন।