বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, January 6, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » টিউশন ফি কিছুটা ছাড় দিতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

টিউশন ফি কিছুটা ছাড় দিতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী 

image-320246-1593269613

করোনার এই দুর্যোগকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায়ে সামর্থ্যবান প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মানবিক হয়ে কিছুটা ছাড় দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি নিয়ে একটা বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বড় একটা সমস্যা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি দেয়া নিয়ে। ফি না পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগগুলো তাদের শিক্ষকদের কী করে বেতন দেবে? আর শিক্ষকরা তো অধিকাংশই বেতনের উপর নির্ভরশীল। কেউ কেউ টিউশনি করাতেন, এখন তো সব বন্ধ। আসলে উভয়পক্ষকে ছাড় দিয়ে এবং মানবিক আচরণ করে এই দুর্যোগের সময়টা আমাদের পার করতে হবে।

শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এক রকম নয়। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজেদের কিছুটা হলেও আগামী ক’মাস চলার মতো, কোনোভাবে চলার মতো সামর্থ্য আছে তাদেরকে অনুরোধ করব ফি’কে কিস্তিতে হোক বা কিছুদিন বাদ দিয়ে পরে নেয়া হোক, সেটি করতে পারেন ভালো। না হলেও দেখেন কতটা ছাড় দেয়া যায়, সেটা চেষ্টা করবেন। এই সময়ে স্কুল বন্ধ আছে, প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে সে কারণেও কিছু খরচ কম। সেই খরচটুকু বাদ দিয়ে, বাকি যে খরচ, শিক্ষকদের বেতন ইত্যাদি।

তিনি বলেন, অভিভাবকদেরও বলব- আপনাদেরও কিছু ছাড় দিতে হবে, কারণ কিছু না কিছু বেতন তো দিতে হবে। আপনার সন্তান পড়াশোনা করছে, এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে মানে তো সেই বেতন বন্ধ করে দেয়া যায় না। আপনার সন্তানের ফি যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে দেয়া উচিত। আর যদি আপনার সামর্থ্য না থাকে সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারাও যদি কিছুটা ছাড় দিতে পারে। কিছুটা কিস্তিতে নিতে পারে, যতদূর সম্ভব উভয়পক্ষকেই আসলে মানবিক আচরণ করতে হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এরপর আপনার সন্তানটিকে আপনি কোথায় ভর্তি করাবেন? সেটি সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের দুশ্চিন্তা নিশ্চয়ই।

‘করোনাকালে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সেমিনারে সভাপতিত্ব সংগঠনের সভাপতি মুসতাক আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান ইরাব সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের সঞ্চালনায় এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইরাব কোষাধ্যক্ষ শরিফুল আলম সুমন।

আলোচনায় অংশ নেন ইরাব যুগ্ম-সম্পাদক ফারুক হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম জসিম, দফতর সম্পাদক এম এইচ রবিন, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার মহিউদ্দিন জুয়েল, ঢাকাটাইমসের স্টাফ রিপোর্টার তানিয়া আক্তার।

টিউশন ফি নিয়ে ড. ফারহানা খানম বলেন, স্কুলের টিউশন ফি নিয়ে অভিভাবকদের দাবি আছে। কারো ক্ষেত্রে হয়তো এটা সঠিক। কিন্তু ফি না দিলে শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি অনলাইন ক্লাস, সিলেবাস হ্রাস, পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠার দিকগুলো তুলে ধরেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone