বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Wednesday, January 8, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » দল নিবন্ধন আইনে মতামত দেওয়ার সময় বাড়াচ্ছে ইসি

দল নিবন্ধন আইনে মতামত দেওয়ার সময় বাড়াচ্ছে ইসি 

151203_bangladesh_pratidin_ec

নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০ এর খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার সময় বাড়াচ্ছে। গত ১৬ জুন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কাছে আইনটির খসড়ার ওপর মতামত আহ্বান করে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ বিয়ষটি জানান ইসি সচিব মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, দল নিবন্ধন আইনের জন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বেশকিছু দল মতামত দেয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী মতামত দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আরো কিছুদিন সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

করোনাকালে নতুন নিবন্ধন আইন না করে পরবর্তীতে করতে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করবেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে আলাদা কোনো আইন নেই। তাই এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। অনেকের মতামতই আমরা পেয়েছি। আবার অনেকের মতামত পায়নি।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন দল নিবন্ধনের জন্য বিধানযুক্ত (ভিআইএ অধ্যায়) করেন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)। এতে নিবন্ধন পেতে তিনটি প্রধান শর্তজুড়ে দিয়ে যে কোনো একটি পূরণ করতে বলা হয়। বর্তমান কেএম নূরুল হুদার কমিশন সেই তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত দুটি পূরণ করার জন্য বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নে হাত দিয়েছে। আর আরপিও থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভিআইএ অধ্যায়টি।

এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীপদ পূরণের যে বিধান ছিল, তা তুলে দিয়ে নারীপদ পূরণের বিষয়টি দলের মর্জির ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে- দল তার গণঠতন্ত্রে উল্লেখ করবে, কতদিনের মধ্যে সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীপদ পূরণ করবে এবং প্রতিবছর সেই সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ইসিকে অবহিত করবে।

এছাড়া পরপর দু’বার কোনো দল সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে।

এই বিধানগুলো ছাড়াও দল নিবন্ধনের জন্য একগুচ্ছ শর্ত রাখা হচ্ছে প্রস্তাবিত নতুন আইনে। নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়াটি নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে মতামত দেওয়ার জন্য পাঠায় গত ১৬ জুন। এছাড়া আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে নাগরিক সমাজকে মতামত দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone