মুসলিম নির্যাতনে চীনা কর্মকর্তাদের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের শক্তিশালী পলিটব্যুরোর এক সদস্যসহ দেশটির চার কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার দেশটির উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি চীন সরকার।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া চার কর্মকর্তা হলেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন কাংগুয়ো, অঞ্চলটির সাবেক পার্টি সেক্রেটারি ঝু হাইলুন, জিনজিয়াং পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর পরিচালক ও পার্টি সেক্রেটারি ওয়াং মিংশান এবং সাবেক পার্টি সেক্রেটারি হুয়ো লিউজুন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদাধিকারী চীনা পলিটব্যুরোর সদস্য চেনের বিরুদ্ধে উইঘুরসহ অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নজরদারি, বন্দী করা, জোরপূর্বক দীক্ষাদানের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে ক্যাম্পে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং।
মার্কিন প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ৪ চীনা কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো লেনদেন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পদ থাকলে এখন তাও জব্দ করা যাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, শিনজিয়াংয়ে যে ‘ভয়াবহ ও ধারাবাহিক নিপীড়ন’ চলছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা।