বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Tuesday, January 7, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ‘ভেজাল ও নকল ওষুধ ভুয়া করোনা রিপোর্টের চেয়েও ভয়াবহ’

‘ভেজাল ও নকল ওষুধ ভুয়া করোনা রিপোর্টের চেয়েও ভয়াবহ’ 

162934Cap_kalerkantho_pic

ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রস্তুত করে পয়জনিং-এর মাধ্যমে যারা লক্ষ লক্ষ মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদেরকে হত্যাকারী উল্লেখ করে বক্তারা বলেছেন, মানহীন, ভেজাল ও নকল ওষুধের ফল ভুয়া করোনা রিপোর্টের চেয়েও ভয়াবহ। ভেজাল ও নকল ওষুধ খেয়ে যদি কারো মৃত্যু হয় তাহলে সেগুলোর উৎপাদক ও অসাধু ব্যবসায়ীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিও যৌক্তিক।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন, বাংলাদেশ’র উদ্যোগে ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি এবং জড়িত অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ শাস্তি ও দুর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্যখাতের নিশ্চিতের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।

সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কামরুজ্জামান বাবলুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মীর মোহাম্মদ জসিম, আয়োজক সংগঠনের মো. শহীদুল ইসলাম, মানিক মিয়াজী, সারোয়ার নিজামী, সরদার মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, আব্দুল আজিজ, ঈমাম হাসান, কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক এইচএম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশে প্রতি বছর ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধের বার্ষিক বিক্রি দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে, যা মোট বিক্রির ২০ শতাংশ। তিনি বলেন, আমরা কোথায় যাব, কী খাব?
শাক-সবজিতে ভেজাল, ফলমূলে ভেজাল, তেলে ভেজাল। এসব ভেজাল খেয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা যেসব ওষুধ দেবেন -সেগুলোতেও ভেজাল। এ থেকে মুক্তি পেতে ভেজালবিরোধী নতুন আইন করা জরুরি। তারা আরো বলেন, খাদ্যে ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান দেশ ও জাতির শত্রু। তারা ব্যক্তিগত মুনাফার লোভে এই দেশের জনসাধারণকে পয়জনিংয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে হত্যায় লিপ্ত আছে। সরকারের উচিত হবে, রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোর দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই ধরনের অপরাধের যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটা আরো জোরদার করা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বক্তারা বলেন, নিরাময়ের জন্য ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ জরুরি। নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রয়কারীরা সভ্যতা ও মানবতার শত্রু। এরা অমানুষ, এরা গণদুশমন। এদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নকল ওষুধের মাধ্যমে যারা মানুষ হত্যা করছে তাদের কোনো ক্ষমা হতে পারে না। ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানকে জাতীয় শুত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে সামাজিকভাবেও বয়কট করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে মোট উৎপাদিত ওষুধের অন্তত ২ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি বছর চারশ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি হয়। অন্যদিকে ওষুধ কম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে প্রতি বছর ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধের বার্ষিক বিক্রি দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে, যা মোট বিক্রির ২০ শতাংশ। সন্দেহ নেই, ওষুধ বাজারের সুরক্ষিত সিন্ডিকেটই বহুদিন ধরে অধিক মুনাফা লাভের আশায় এ ধরনের কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছে। আর এই সিন্ডিকেটই অননুমোদিত, অনিবন্ধিত ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণন বন্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone