বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Saturday, January 4, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » তুরস্কে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছেন এরদোগান

তুরস্কে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছেন এরদোগান 

171135_bangladesh_pratidin_haya-sophia-223395

তর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ও জাদুঘর হায়া সোফিয়াকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণার পরে সমালোচকরা এটিকে তুরস্কের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল বা খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা কিনা সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। খবর এএনআইয়ের।

ফ্রন্টিয়ার অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনালের (এফএআই) মিশনের সভাপতি ডাল্টন থমাস বলেছেন, এর মাধ্যমে এরদোগান প্রকাশ্যে ইসলামিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।

তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ তর্কি প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, পাশাপাশি দেশটির পুরনো সীমানা পুনরুদ্ধার এবং জেরুজালেম বিজয়ের আহ্বান জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যখন বিশ্ব করোনার ভয়ঙ্কর পরিণতি থেকে মুক্ত হচ্ছে, তখন আমরা আবার খিলাফতের মুখোমুখি হব।’

এর আগে গত ১০ই জুলাই তুরস্কের শীর্ষ একটি আদালত হায়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করা বিষয়টি অবৈধ বলে রায় দেয় এবং এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকার একে মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে আদেশ জারি করে।

সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে এরদোয়ান বলেছেন, ‘প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো হায়া সোফিয়া মুসলিম, খ্রিস্টান এবং বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যা এক সময় খ্রিস্টানদের ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তিনি বলেছেন, হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরে তুরস্ক সার্বভৌম অধিকারের চর্চা করেছে।

অবশ্য থমাস এটিকে তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের লঙ্ঘন ও ধ্বংস হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি তুরস্কের অভ্যন্তরে সংঘটিত একটি ইসলামিক পুনর্জাগরণ। এটিই ধ্বংসকারী এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী তুরস্কের দেশকে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণকারী একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে তার মূল গঠনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পুনর্নির্মাণ।’

প্রসঙ্গত, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য হায়া সোফিয়া দেখতে প্রতি বছর ইস্তাম্বুলে পর্যটকদের প্রচুর জনসমাগম হয়। সারা বিশ্ব থেকেই এখানে পর্যটকরা আসেন। ক্যাথেড্রাল হিসেবে স্থাপনাটি প্রথম নির্মাণ করা হয় বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময়। কিন্তু ১৪৫৩ সালে অটোমানরা কনস্টান্টিনোপল জয় করার পর হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। এরপর ১৯৩৪ সালে তুরস্ক সরকার এটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন। কিন্তু শুক্রবার তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত দ্য কাউন্সিল অব স্টেটের সিদ্ধান্তে হায়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তরিত হলো।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone