বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, January 6, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » হিরোশিমা শিশু! এর চেয়েও ৩ হাজার গুণ ভয়ঙ্কর বোমা রাশিয়ার হাতে! (ভিডিও)

হিরোশিমা শিশু! এর চেয়েও ৩ হাজার গুণ ভয়ঙ্কর বোমা রাশিয়ার হাতে! (ভিডিও) 

142900_bangladesh_pratidin_russia
১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকা যে পরমাণু বোমা ফেলেছিল সেটি নেহাতই শিশু। অন্তত এই বোমার কাছে। রাশিয়া যে তার থেকেও ভয়ঙ্কর বোমা মজুদ করে রেখেছিল তার প্রমাণ পাওয়া গেল এত বছর পর। হিরোশিমার সেই বোমার থেকেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল রাশিয়া। তবে সেই সময় কাউকে সেটা নিয়ে কিছুই জানতে দেয়নি তারা। ১৯৬১ সালে যে থার্মোনিউক্লিয়ার বোমার পরীক্ষা চালিয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়া সেটি হিরোশিমার বোমা থেকে তিন হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল। এত বছর পর সেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ভিডিও সামনে আনল রাশিয়ার স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি করপোরেশন ‘রস অ্যাটম’।
সেই ভিডিও দেখে যে কারও পিলে চমকে যেতে পারে। মুহূর্তে গোটা একটা নগর সভ্যতাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে সেই বোমা। ৪০ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া। পোক্যাটমের ইউটিউব চ্যানেলে ২১ আগস্ট সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। ৫৯ বছরের পুরোনো সেই ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়েছে, ৫০ মেগাটনের এই হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল উত্তর মহাসাগরে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপ নোভায়া জেমলায়াতে। রুশ ভাষায় বোমাটির নাম ছিল ‘জার বোম্বা’। ‘টিইউ-৯৫’বিমানে সুরক্ষা কবজে মুড়ে সেই বোমা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২৬ ফুট লম্বা এবং ২৭ টন ওজনের সেই বোমা পরীক্ষাগার থেকে প্রথমে ট্রেনে করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর সেটিকে অতি সাবধানে প্লেনে তোলা হয়।
২০০৭ সালের পয়লা ডিসেম্বর রস অ্যাটম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক শক্তি নিয়ে কাজ করাই এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ। তারাই সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে। তবে এত বছর পর কেন হঠাত্ সেই বিস্ফোরণের ভিডিও প্রকাশ করল রাশিয়া! নেহাতই কি শক্তি প্রদর্শন! শত্রুপক্ষকে এই ভিডিওর মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন পুতিন! ১৯৬১ সালে ৩০ অক্টোবর রাশিয়া নিজেদের দখলে থাকা ওই ছোট্ট দ্বীপে বোমাটি ফেলেছিল। তবে বোমাটি মাটি স্পর্শ করেনি। মাটি থেকে প্রায় চার হাজার মিটার উপরে আকাশেই ফাটানো হয়েছিল সেই শক্তিশালী বোমা। বিমান থেকে প্যারাসুটে করে ফেলা হয়েছিল। গোটা আকাশ আলো করে বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় ব্যাঙের ছাতার মতো মেঘ। কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায় সেই আলোর ঝলকানি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone