যে কারণে পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে
পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সংবাদ সম্মেলনেই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন শিনজো আবে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সরকারের জন্য তিনি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে চান না। তাই পদত্যাগের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন আবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এমনিতেই চাপে আছেন শিনজো আবে। এক সপ্তাহের মধ্যে গত সোমবার দ্বিতীয়বার তাকে হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জাপানে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থা সবার সামনে তুলে ধরতেই আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন আবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সেখানে স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জাপানের সরকার প্রধান।
জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে’র বরাত দিয়ে জাপান টাইমস ও ব্লুমবার্গ টুইট করেছে, ‘শিনজো আবে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।’ এনএইচকে বলেছে, আবেকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল গত ১৭ আগস্ট টোকিও’র একটি হাসপাতালে দেখা যাওয়ার পর। অবশ্য তার দলের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হাসপাতালে যাওয়া। ওইবার সাড়ে ৭ ঘণ্টা হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফেরেন শিনজো আবে। তবে আবে যে মানসিক অবসাদে ভুগছেন তা অস্বীকার করেননি তারা।
এক সপ্তাহ না যেতে আবারও আবেকে হাসপাতালে দেখা গেছে।
দেশটির সরকারি সূত্র বলেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল জানতেই এবার সেখানে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব শঙ্কা কাটাতেই শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবেন আবে। কিন্তু তার আগেই সংবাদমাধ্যমের খবর মেয়াদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও তা শেষ না হতেই বিদায় নেবেন জাপানের দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী।
৬৫ বছর বয়সী আবে ২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, এখনও তিনি সরকারের নেতৃত্বে। এর আগে আলসারেটিভ কোলাইটিসে ভোগার কারণে ২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। চিকিৎসা করে এই অসুখ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন আবে। কিন্তু এ মাসে তার স্বাস্থ্য নিয়ে গুঞ্জন তোলে কিছু জাপানি মিডিয়া। তার হাঁটার গতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে গণমাধ্যম। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ফ্ল্যাশ জানায়, গত ৬ জুলাই তার অফিসে রক্তবমি করেছিলেন আবে। তবে রক্তবমির এই ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়নি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স।