হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম লেখাল ভারত
হাইপারসনিক মিসাইল টেস্ট করে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর পাশেই নাম লেখাল ভারত। একদিকে যখন চীনের সঙ্গে সংঘাত চলছে, তার মধ্যেই হাইপারসনিক মিসাইল টেস্ট করলো ভারত। এ পি জে আব্দুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে সেই টেস্টিং হয়েছে। যাতে শব্দের থকে ৬ গুণ বেশি গতিতে ছুটেছে মিসাইল।
সোমবার সকাল ১১টা ৩মিনিটে সেই পরীক্ষা করা হয়। অগ্নি মিসাইল বুস্টার দিয়ে ওই মিসাইল টেস্ট করা হয়। পাঁচ মিনিটেই সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়।
ডিআরডিও তৈরি করেছে হাইপারসনিক টেস্ট ডেমোনস্ট্রেটর ভেইকল। সেটিই এদিন পরীক্ষা করা হয়।
সূত্রের দাবি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনসহ হাইপারসনিক মিসাইল তৈরি করতে পারবে ডিআরডিও। যা এক সেকেন্ডে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করবে। এদিন ডিআরডিও চিফ সতীশ রেড্ডির নেতৃত্বে এই মিসাইল টেস্ট হয়। সব প্যারামিটারই ছিল সঠিক।
১১টা ৩মিনিটে অগ্নি বুস্টার হাইপারসনিক ভেইকলটিকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যায়। পরে দুটি আলাদা হয়ে যায়। এই পরীক্ষার পর প্রশংসা করেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এর আগে এই হাইপারসনিক মিসাইলের অধিকারী ছিল কেবল রাশিয়া, চীন ও আমেরিকা। সেই তালিকাতেই এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম লেখাল ভারত।
কিছু দিন আগে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই নৌ-বাহিনীতে অত্যাধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করার কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেসব অস্ত্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের টেস্টিং চলছে বলে জানান তিনি। নৌ-বাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে হাইপারসনিক নিউক্লিয়ার স্ট্রাইক ওয়েপন ও আন্ডারওয়াটার ড্রোন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেন, এই বাহিনীকে পানির নিচে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ড্রোন দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এগুলো চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
পুতিন বলেন, তিনি অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চান না। নতুন প্রজন্মের পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, তার এই অস্ত্র পৃথিবীর প্রায় যে কোনও স্থানে আঘাত হানতে পারে। আরও জানা গেছে যে রাশিয়ার ওই যুদ্ধ জাহাজে ডুবন্ত পরমাণু অস্ত্র পোজেইডন এবং মিসাইল জিরকন মোতায়েন করা হবে।
এই অস্ত্র হাইপারসনিক এবং শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিতে চলবে। এটাকে প্রতিহত, আটকানো কিংবা অবস্থান চিহ্নিত করা কঠিন।
প্যারেড অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, নৌ-বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ছে। এবছর তারা ৪০টি নতুন জাহাজ পাবে।