নিষেধাজ্ঞার হুমকি ফ্রান্সের, সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে অটল আঙ্কারা
পূর্ব-ভূমধ্যসাগর থেকে তুরস্কের তেল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের জেরে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে। অঞ্চলটির দাবিদার প্রতিবেশী দু’দেশ গ্রিস ও সাইপ্রাসও।
যেগুলো কিনা ইইউ জোটের সদস্য। পরস্পরের প্রতি সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে দেশগুলো। বির্তকিত অঞ্চলে চলছে তিনপক্ষের শক্তিমত্তা প্রদর্শন।
আর এর মধ্যেই রবিবার থেকে সাইপ্রাস অঞ্চলে বার্ষিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। তারা জানিয়েছেন, সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে কোনো ধরণের মীমাংসায় যাবে না।
এদিকে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ইইউ’র পরবর্তী বৈঠকেই তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স। তারা দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকাঁ বলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের জলসীমা ইস্যুটি ঘোলাটে করছে প্রতিবেশীরা। তারাই আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখান করছে। অথচ, ন্যাটো মহাসচিবের সামরিক সমঝোতায় তুরস্ক রাজি। তবে, নিজ অধিকার আর সার্বভৌমত্বের ব্যাপারেও আমরা অনঢ়।
সাইপ্রাস ও গ্রিসের পক্ষে বজায় রয়েছে ইইউ’র হুমকি-হুঁশিয়ারি। রবিবার ফ্রান্স বলেছে, আলোচনার মাধ্যমে তুরস্ক সমঝোতা না করলে, ভবিষ্যতে দেশটিকে ভুগতে হবে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভস লে দ্রিয়ঁ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে পূর্ব-ভূমধ্যসাগরের ঝামেলা মেটানোর পরামর্শ দিয়েছি আমরা। নতুবা, দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা বা কঠোর অবরোধ আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় জোট।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সাল থেকেই সাইপ্রাস বিভক্ত। যার উত্তরাঞ্চলকে তুরস্কই প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারই পশ্চিমাংশে, গেলো বছর থেকে লিবিয়ার সাথে যৌথভাবে গ্যাসকূপের খননকাজ জোরালো করে আঙ্কারা; পেয়ে যায় বিশাল মজুদ। প্রাকৃতিক সম্পদের এ মালিকানা নিয়েই নতুনভাবে ছড়িয়েছে ইইউ’র দেশগুলোর সাথে উত্তেজনা।