করোনা আবহেই ভারতে চালু হল মেট্রো পরিষেবা
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সোমবার থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হল দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, নয়ডা, লকনউ, তেলেঙ্গানা, কোচিসহ ভারতের একাধিক শহরে। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল এই শহরগুলিতে।
আনলক-৪ পর্বে দিল্লির ইয়েলো লাইন দিয়ে সময়পুর বাদলি স্টেশন থেকে গুরগাঁওয়ের হুদা সিটি পর্যন্ত চলছে মেট্রো। সকাল ৭ টা-১১ টা ও বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত স্মার্টকার্ড ব্যবহারকারীরাই মেট্রোতে যাত্রা করতে পারবেন। এদিন সকালে কাশ্মীরি গেট, হজ খস স্টেশনগুলিতে মেট্রো যাত্রীদের ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইসার নিয়েই মেট্রো চড়তে দেখা যায়। স্টেশন চত্ত্বরেও থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজ করেই যাত্রীদের মেট্রোতে চড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ করোনা উপসর্গহীন ব্যক্তিরাই মেট্রোতে ট্রাভেল করার সুযোগ পাবেন।
ট্যুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আজ থেকে দিল্লি মেট্রো পরিষেবা চালু হল। মেট্রো খুব ভাল ব্যবস্থা নিয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের যেন কোন গাফিলতি না থাকে।’
এদিন থেকে তেলেঙ্গানাতেও শুরু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। যদিও যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। প্রথম দফায় এল বি নগর থেকে মিয়াপুর পর্যন্ত রেড লাইন দিয়েই চলবে মেট্রো রেল।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে কেরলেও। বিশ মিনিট অন্তর সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো।
চেন্নাইতে ব্লু লাইন দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ওয়াশারমেনপেট পর্যন্ত চলছে মেট্রো। মেট্রোর ভিতরে ঝা চকচকে থাকলেও সপ্তাহের প্রথম দিন যাত্রী সংখ্যা ছিল নেহাৎই কম।
কোচিতেও সকাল ৭ টা থেকে চালু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। যদিও যাত্রী সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। মেট্রোর ভিতরেই কর্মীরা নিয়মিত ভাবে জীবানুনাশক দিয়ে ট্রেনের হাতল ও বসার আসন পরিস্কার কাজ করে যাচ্ছেন।
যদিও বেঙ্গালুরু মেট্রোতে এদিন সকাল থেকে বহু যাত্রীকেই মেট্রো চড়তে দেখা যায়। সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা এবং বিকাল ৪.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত পাঁচ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে। মূলত পার্পেল লাইন দিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে।
তবে চলতি মাসে মুম্বাইতে মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গে মেট্রোর চাকা ঘুরতে পারে বলে উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।