উইঘুরদের ওপর চীনের ‘নৃশংসতা’ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েলি তরুণরা
ইসরায়েলের নাম আসলেই ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস, বর্বর নির্যাতনের দৃশ্য মানসপটে ভেসে ওঠে। বোমা হামলা, গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে নারী-শিশু-পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়া, ভূমি দখলসহ তেল আবিব করে না এমন কোনো অপরাধ নেই বললেই চলে।
সেই দেশটির এক তরুণ জানালেন, চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর নৃশংসতার বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা। তিনি বলছেন, চীন শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর যে নৃশংসতা চালাচ্ছে তা ‘প্রায় গণহত্যার মতো’। ইসরায়েলি তরুণদের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ কাজ করছে।
সেই ইসরায়েলি তরুণ হচ্ছেন- অ্যান ডেসটিনি ওয়ান। রেডিও ফ্রি এশিয়ার উইগুর সার্ভিসের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ সমাজকর্মী বলেন, চীনে উইঘুরদের ওপর যে নৃশংস নির্যাতন হচ্ছে ইসরায়েলে সে বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অ্যান ডেসটিনি ইসরায়েলি বেশকিছু তরুণদের মধ্যে একজন যিনি উইঘুরদের ওপর চীনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে টুইটারে সক্রিয়ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
উইঘুরদের ওপর চালানো বর্বরতাকে হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনা করা হবে কি-না জানতে চাইলে অ্যান ডেসটিনি বলেন, হলোকাস্ট শব্দটির ব্যবহার নিয়ে ইহুদিরা এক ধরনের বিভক্ত বলা যায়। আমি মনে করি, উইঘুরদের ওপর নৃশংসতাকে হলোকাস্টের সঙ্গে অবশ্যই তুলনা করা প্রয়োজন। কারণ উইঘুরদের ওপর যে নৃশংস নির্যাতন চলছে তা প্রায় গণহত্যার মতো।
তার প্রচারণা সম্পর্কে তিনি রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, তার লক্ষ্য হলো চীনে উইঘুরদের ওপর যে নির্যাতন করা হচ্ছে সে বিষয়ে ইসরায়েলিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তার বিশ্বাস শিনজিয়াংয়ে নির্যাতন বন্ধে ইসরায়েলিরা চীনের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে। এদিকে, এ বিষয়ে সম্প্রতি তেল আবিবে চীনের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া ইসরায়েলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে আলোচনা হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিযোগ, চীন শিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর বহুদিন ধরে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করে দেওয়া, তরুণ-তরুণীদের ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়াসহ সেখানকার বাসিন্দাদের নির্যাতন করা হচ্ছে বিভিন্ন পন্থায়।