‘চীন কি নিজ সেনাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে?’
আগ্রাসী ভঙ্গি বজায় রাখতে না পারলে, দখলকৃত ভূমি কব্জায় ধরে রাখা চাই। এটা করতে হলে যন্ত্রের (অস্ত্র) পেছনের লোকটাকেও আগ্রাসী হতে হয়। এই বোধ থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মনে করছেন তার দেশের সৈন্যরা দক্ষ যোদ্ধা নন।
গালওয়ানে ভারতীয় সেনাদের হাতে নাকাল হয়ে চীনের গণমুক্তি ফৌজ ‘থ’ বনে গেছে। ‘সিঙ্গাপুর পোস্ট’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে স্টুয়ার্ট হোয়াইট লিখেছেন : ঘটনা বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা : গণমুক্তি ফৌজের মান এখন অনেকটা ‘মেড ইন চায়না’ পণ্যের মতোই- দেখতে মনোহর কিন্তু কাজের বেলায় হ-য-ব-র-ল।
বিষয়টি আরও কৌতূহলোদ্দীপক হয়ে পড়ে যখন প্রেসিডেন্ট শি ‘অদম্য যোদ্ধা গুর্খা’দের গণমুক্তি ফৌজে রিক্রুট করতে দিতে নেপালি সরকারকে অনুরোধ জানান। নিবন্ধকারের প্রশ্ন, তবে কি চীন তার নিজের সৈন্যদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
নিবন্ধে বলা হয়, যুদ্ধে লড়ার জন্যই সৈন্য দরকার হয়। কিন্তু চীনের পক্ষে কে লড়বে? তিব্বত এবং শিনজিয়াংয়ের মানুষের ওপর যাবতীয় জুলুম চালিয়েও ওদের দমন করা যাচ্ছে না। হংকংও তপ্ত। তাই খুব কৌশলের সঙ্গে এগোচ্ছে চীন। ‘সব ঠিক আছে, উদ্বেগের কিছু নেই’ ভঙ্গি দিয়ে চলেছে দেশটি। তবু অনেক কিছু ধরা পড়ে যায়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি আগস্ট মাসের ১৪ তারিখে তিব্বতে গিয়ে সেখানকার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা উ ইংজি’র সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারের এত বড় কর্মকর্তা ওয়াং একটা প্রদেশে জরুরি সফরে কখন যান? তিনটি কারণ থাকতে পারে। (১) প্রচারসভা (২) নিজের প্রদেশ এবং (৩) বিপর্যয় সামলাতে স্থানীয় জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ।
নিবন্ধকারের মতে, তৃতীয় কারণটাই এখানে খাটে। এতে বোঝা যায় যে, বিপুলসংখ্যক হান চীনাদের তিব্বতে বসত করতে দেওয়া সত্ত্বেও অবস্থা স্বস্তিকর নয়। অথচ বেইজিংয়ের পত্র-পত্রিকাগুলো অবিরাম বলছে, ‘অল ইজ ওয়েল’।