সরকারের মুখে জনগণের কথা শোভা পায় না : খালেদা
প্রধান প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এটি অবৈধ সংসদ। সুতরাং এই সরকারের মুখে জনগণের কথা শোভা পায় না।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই । গণতন্ত্রকে হত্যা করে এই সরকার ক্ষমতায় বসেছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী সকল দলকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি দাবি করে বেগম জিয়া বলেন, এই নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে আগেই আসন ভাগাভাগি হয়েছে। আমাদেরকেও আসন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তা চাইনি।
বেগম জিয়া বলেন, আমরা চেয়েছিলাম একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
তিনি বলেন, এই সংসদের নেতা, উপনেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার কেউ-ই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। সুতরাং এই সরকার ও সংসদ অবৈধ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, লে.জে.(অব) মাহবুবুর রহমান, ব্রি.জে. (অব) আ স ম হান্নান শাহ, বেগম সারওয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড.আবদুল মঈন খান।
এছাড়া ১৯ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, বাংলাদেশ বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামের কর্ম পরিষদের সদস্য মশিউল আলম, ইসলাম ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ইসলামীক পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মোবিন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মাওলানা মো.ইসহাক, বাংলাদেশ পিপলস লীগের সভাপিত গরীবে নেওয়াজ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কামরুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শওকত হোসেন নীলু, বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ ভাসানীর সভাপিত শেখ আনোয়ারুল হক, ডেমোক্রেটিক লীগের চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নুরুল হক মজুমদার, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস প্রমুখ।