বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Wednesday, January 8, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » আরও তীব্র হচ্ছে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাত

আরও তীব্র হচ্ছে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাত 

163102_bangladesh_pratidin_amneyya-news-pic

সপ্তাহ পেরুতে চললেও বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখের নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এরিমধ্যে ২৩০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

রবিবার আজারবাইজান তাদের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর গ্যাঞ্জেতে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। পাশপাশি নাগর্নো-কারাবাখ এর সীমান্তবর্তী তাদের আরো দুটি শহরে গোলা বর্ষণের অভিযোগ করেছেন আজেরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এতে দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আজারবাইজানের এই দাবি অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া। তবে নাগর্নো-কারাবাখে তাদের সমর্থিত আর্মেনিয়ানদের প্রধান আরাইক হারুতিউনইয়ান গ্যাঞ্জেতে একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথা স্বীকার করেছেন৷ আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখ এর প্রধান শহর স্টেপানকার্টে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে বিতর্কিত অঞ্চলটির একটি শহর ও সাতটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করে আজারবাইজন। অন্যদিকে নাগর্নো-কারাবাখে বসবাসরত আর্মেনিয়দের সুরক্ষায় সব ধরনের উপায় ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের তিনটি বিমান ভূপাতিত করার দাবিও করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুশান স্টেপানিয়ান, যদিও এই তথ্য অস্বীকার করেছে বাকু।

এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য ফ্রান্স মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিলেও তাতে কাজ হয়নি। দুই পক্ষই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।

বিতর্কিত অঞ্চল নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে গত রবিবার দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর থেকেই এই অঞ্চলে দুই দেশের বিরোধ চলছে। ১৯৯০ এর দশকে আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠী আজারবাইজানের কাছ থেকে কারাবাখ দখল করে। এ নিয়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সেসময়ই৷ শুরু হয় যুদ্ধ, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ।

১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সরাসরি সংঘাতের ইতি ঘটলেও এ নিয়ে দুইদেশের বিবাদ অব্যাহত ছিল। নিজেদের অঞ্চল পুনরায় দখলে বেশ কয়েকবারই হুমকি দিয়েছে আজারবাইজান।

গত রবিবার নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে তুরস্ক ও রাশিয়ার মতো আঞ্চলিক শক্তি জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানের পক্ষ নিয়েছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone