বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Wednesday, January 8, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » বিশ্ব বাজারে অবস্থান ধরে রাখতে তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা সৌদির

বিশ্ব বাজারে অবস্থান ধরে রাখতে তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা সৌদির 

160326_bangladesh_pratidin_saudi

করোনাভাইরাসের সময়ে বিশ্ববাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা। আর তা ভাবনায় ফেলেছে তেল-অর্থনীতির উপর টিকে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর ভাবনায় এ বিষয়টি নাড়া দিয়েছে যে, তেলের বিশ্ববাজার জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আর তাই কমে যেতে পারে খনিজ তেলের চাহিদা।

অপরিশোধিত তেলের বাজার একেবারে ফুরিয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল উৎপাদনকারী সংস্থা আরামকো অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, তেলের দৈনিক উৎপাদন ১২ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে ১৩ মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে পরিবেশবান্ধব তেলের চাহিদা বাড়ার আগেই নিজেদের তেল রপ্তানি বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিতে চাইছে তারা।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমলে নতুন বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার পরিকল্পনাও করছে দেশটি। এজন্য ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে তারা।

তবে এখনো খনিজ তেলের বিশ্ব বাজার নিয়ে আশাবাদী আরামকো। ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের চাহিদা বাড়বে। খুব দ্রুতই এ বাজারের পতন ঘটার আশঙ্কা নেই,’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন আরামকোর এক কর্মকর্তা।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন সালমানের নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন। প্রিন্স সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে তেল রপ্তানির উপর দেশটির নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চান। আর এ জন্য তার প্রয়োজন অর্থ। সে অর্থের অন্যতম উৎস তেল রপ্তানি।

আর তাই অধিক পরিমানে তেল রপ্তানি করে উপার্জিত টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন সালমান, বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে বাজারে পরিবেশবান্ধব তেলের চাহিদা বাড়ার কারণে, আরামকোকেও সে বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। আরামকোর তেল তার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব। আরামকোর প্রতি ব্যারেল তেলে কার্বন ডাই অক্সাইডের তীব্রতা দশ দশমিক এক কেজি যা তার প্রতিযোগীদের চেয়ে অনেক কম।

প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো পরিবেশবান্ধব তেল উৎপাদনে মনোযোগী হওয়া আর উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা। পাশাপাশি তেল উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও আমাদের নজর রয়েছে যেন প্রতিযোগীদের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা টিকে থাকতে পারি।’

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone