যে কারণে আজারবাইজানের জনগণ তুর্কি ও পাকিস্তানি পতাকা ওড়াচ্ছে
নাগোরনো-কারাবাখের বিতর্কিত যুদ্ধবিধস্ত অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও ফের সেখানে গোলাগুলি বর্ষণ হচ্ছে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান উভয় পক্ষই জানিয়েছে, সেখানে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। লড়াইয়ে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান ও তুরস্ক। যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ায় আজারবাইজানের জনগণ দেশ দুটির প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করেছে। রাজধানী বাকুর ভবনে ভবনে উড়ছে পাকিস্তান ও তুরস্কের পতাকা। খবর টাইমস অব ইসলামাবাদ এর।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া লড়াই গত ৩০ বছরের মধ্যে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই। নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে সংঘটিত যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহতের পর এবারের লড়াইটি সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে।
পাকিস্তানে আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত আলী আলিজাদা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যাতে বাকুর একটি আবাসিক ভবনে পাকিস্তান ও তুরস্কের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, টানা দুই সপ্তাহ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ১০ অক্টোবর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়ে উভয় দেশ। ফলে যুদ্ধবিরতি কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।