বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, January 13, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » খুচরা বাজারে নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

খুচরা বাজারে নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা 

125703_bangladesh_pratidin_poteto

আলুর বাজারে প্রায় এক মাস ধরে অস্থিরতা চলছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে লামাগহীন পণ্যটির দাম। এদিকে, অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে এখনও খুচরা বাজারে মানা হচ্ছে না সরকারের (কৃষি বিপণন অধিদফতর) নির্ধারিত আলুর দাম। বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে সরকারের নির্ধারিত দামকে ক্রেতাসাধারণ সাধুবাদ জানালেও বর্ধিত দাম রাখছেন না বিক্রেতা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা। আর বিক্রেতা বলছেন, আগের বেশি দামে আলু কেনায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে বর্ধিত দামের আলু বাজারে এলে দাম কমে আসবে বলে জানান বিক্রেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফকিরাপুল, কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচা বাজার, খিলগাঁও বাজার, মালিবাগ ও মগবাজার বাজারে আলুর দরদামে এই চিত্র। এসব বাজারে প্রতিকেজি রাজশাহী ও রংপুরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বিক্রমপুরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে।

সরকার নির্ধারণ করে দিলেও দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা। মাহবুব নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়িয়েছেন, এখন সরকারের নির্ধারিত দাম মানছেন না। এ বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।

সুমন নামে মালিবাগ রেলগেট বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আমাদের আলু বিক্রি কম তাই বাজার থেকে কম আনা হয়। দোকানের সব আলু আগের বাড়তি দামে কেনা ছিল তাই কিছুটা কমিয়ে দাম রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্ধিত দামের আলু দোকানে এলে অবশ্যই দাম কম রাখা হবে। তখন ৩০ টাকায় বিক্রি করা যাবে।

একই কথা জানান মগবাজারের বিক্রেতা মাসুদ মিয়া। তিনি বলেন, আমার পাইকারি ৪৮ টাকায় আলু কেনা আছে। এটাতো অর্ধেক লোকসান দিয়ে বেচতে পারি না। তবে নতুন দামে আলু দোকানে ওঠালে তখন ৩০ টাকায় দিতে পারবো।

এর আগে, বুধবার প্রতিকেজি আলুর দাম হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা ও খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি নিশ্চিত করতে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

একইসঙ্গে উল্লেখিত দামে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে আলু বিক্রি করেন সেজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ডিসিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক দশমিক নয় কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক নয় লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু থেকে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone