জরুরি সেবা-৯৯৯ এ প্রতিদিন কল করেন ২০ হাজার মানুষ
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯। এ নাম্বারে গড়ে প্রতিদিন কল আসে ২০ হাজার। এটি বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে পরিচালিত একটি জরুরি কল সেন্টার। আগুনের ঘটনায় জরুরি ফায়ার সার্ভিস, আইনি সহায়তা পেতে জরুরি পুলিশ ও মুমূর্ষু রোগীর জন্য জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ এমনকি আত্মহত্যা প্রবণ কোনো ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে মুহূর্তে সহায়তা দিয়ে আসছে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯।
পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আমরা উন্নত বিশ্বের মতো সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছি। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার সেবা প্রার্থীকে আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সেবা প্রার্থীদের মধ্যে নারী, শিশু বয়স্ক থেকে শুরু করে সমাজের সব শ্রেণী-পেশা এবং বংশ-গোত্রের মানুষ রয়েছেন। এই কল সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে একটি জনবান্ধব পুলিশ বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে আমরা ৯৯৯ সহ যত সেবা রয়েছে সবগুলোকে আরও আধুনিক করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ কল সেন্টার থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৯৯-এ সারাদেশ থেকে সর্বমোট ২ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৫০৩টি কল এসেছে। এরমধ্যে সত্যিকার অর্থে সেবা পাওয়ার জন্য ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৩টি কল আসে এবং স্রেফ তামাশা ও অহেতুক কারণে ১ কোটি ৮৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৪০টি কল এসেছে। এসব কলের মধ্যে ২১ শতাংশ কলারকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে এবং ৭৯ শতাংশ কল স্রেফ তামাশা ও অহেতুক কারণে আসায় তাদের কোনো প্রকার সেবা দেওয়া যায়নি।
জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এর (মিডিয়া) পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার জানান, আমরা সার্বিকভাবে জনমানুষের প্রয়োজনে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ২০ হাজার কল আসে। স্কুল-কলেজের পরীক্ষার সময় শিশুরাও ৯৯৯ এ কল করে তথ্য জানতে চায়। এছাড়াও বিনা কারণে প্রতিদিন প্রচুর শিশু ৯৯৯ এ কল করে থাকে।