চীনের ভ্যাকসিন নিয়ে যে ঘোষণা দিতেই বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাজিলের সাও পাওলো
যতটা সহজভাবে চীনের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালপর্ব সম্পন্ন করার কথা ভাবা হয়েছিল, তেমনটা হল না ব্রাজিলে। ইতোমধ্যেই চীনা ভ্যাকসিন ‘করোনাভ্যাক’-এর বিরুদ্ধে সাও পাওলোয় শুরু হয়েছে তুমুল প্রতিবাদ। যদিও কারণটা একেবারেই আভ্যন্তরীণ। সাও পাওলোর গভর্নরের ঘোষণার জন্যই বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। রবিবার সাও পাওলোর রাস্তায় গভর্নরের বিরুদ্ধে পোস্টার হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে বহু সংখ্যক মানুষ।
আসলে করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিতি লাভ করা চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ব্রাজিলের। সাও পাওলোর সবচেয়ে বিখ্যাত বায়োমেডিক্যাল গবেষণা সংস্থার মতে, সিনোভ্যাকের তৈরি প্রতিষেধক ‘করোনাভ্যাক’ সবচেয়ে নিরাপদ। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই দ্রুত তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করার সিদ্ধান্তও হয় দেশটিতে। আর এরপরই সাও পাওলোর গভর্নর জোয়া ডোরিয়ার ঘোষণায় গোল বাঁধে। তিনি জানান,এই করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল বাধ্যতামূলক অর্থাৎ প্রত্যেক বাসিন্দাকে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তার যুক্তি ছিল, এতে সকলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, তাতে সবাই লাভবান হবে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাও পাওলোর বাসিন্দারা।
রবিবার গভর্নর জোয়া ডোরিয়ার বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে রাজপথে নেমে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলের দাবি, এভাবে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য সকলকে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারেন না গভর্নর। বিক্ষোভকারীদের হাতের পোস্টারেও সে কথাই লেখা। যদিও গভর্নরের এই ঘোষণার নেপথ্যে রয়েছেন স্বয়ং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তিনিই আগে জানিয়েছিলেন যে করোনা প্রতিষেধকের জন্য তার দেশ স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নেবে। এখন সাও পাওলোর এই বিক্ষোভের পর চীনের ভ্যাকসিনটির তৃতীয় দফা ট্রায়াল আদৌ শুরু হতে পারবে কি না ব্রাজিলে, তা নিয়ে সংশয় উসকে উঠল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।