বিএনপির জনসমর্থন না থাকায় আন্দোলন ব্যর্থ : শেখ হাসিনা
এইদেশ এইসময় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সহিংসতা চালিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। কিন্তু জনসমর্থন না থাকায় তাদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে।”
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩১তম বিসিএস পুলিশ সার্ভিসের সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিসিএস ব্যাচের শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন । পরে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপারদের মধ্যে পদক প্রদান করেন। বিকাল চারটায় চারঘাটের সারদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের ধারা রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে জনগণ আবারো আমাদের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে। আমরা এখন উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। নির্বাচনী ইশতেহারে এই উন্নয়ন পরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেছি।”
প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, মনে রাখতে হবে আপনাদের কাছে বিপদগ্রস্ত মানুষ আসে সাহায্যের আশায়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রে, ফাঁড়ি, পুলিশবক্স এবং পুলিশের অন্যান্য দফতরে আসা মানুষ যেন হয়রানি বা দুর্ভোগের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করে সেবা প্রদান করতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “গত এক বছরে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে ১৫ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। প্রায় তিন হাজার সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ জাতি স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা দমনে নির্বাচনের আগে ও পরে পুলিশসহ যৌথ বাহিনী তৎপর ছিল। তারপরও এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দির আক্রমণ করেছে। এই জঙ্গি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতার পাশাপাশি জনগণের প্রতি সুশীল আচরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।