বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, September 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » মার্কিন নির্বাচনের জটিলতায় উদ্বিগ্ন জার্মানি

মার্কিন নির্বাচনের জটিলতায় উদ্বিগ্ন জার্মানি 

141533_bangladesh_pratidin_us

জার্মানির নেতারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০-তে ট্রাম্প নয়, তাদের পছন্দ বাইডেন। এখন এই ভোটের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ও বিরোধ দেখা দেয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন তারা। খবর ডয়চে ভেলের।

বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তিনিই জিতছেন। এরপরই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানাগ্রেট ক্রাম্প-ক্যারেনবাওয়ার বলেছেন, ”প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, তিনি জিতে গেছেন। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যের ফলে আমেরিকায় বিস্ফোরক পরিস্থিতি ও সংকট দেখা দিতে পারে।”

ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাওয়ার আবার চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-এর প্রধান। তিনি সরকারি রেডিওতে বলেছেন, ”নির্বাচনের কোনো মীমাংসা এখনো হয়নি। ভোট গণনা চলছে। এখন থেকেই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গেছে।”

জার্মান ভাইস চ্যান্সেলার এবং অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস বলেছেন, ”জরুরি হলো, প্রতিটি ভোটের গণনা এবং সবশেষে ফলাফলের ঘোষণা।”

ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকার সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ”হোয়াইট হাউসে কোন প্রশাসন আছে, তার উপরই বন্ধুত্ব অনেকটা নির্ভর করে। তবে তার মতে, ভোটে যাই ফল হোক না কেন, ইউরোপকে আত্মনির্ভর হতে হবে। ইউরোপকে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজ শক্তিশালী করতে হবে।”

ফ্রান্সের অবস্থান
ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ”প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের উপর দুই দেশের সম্পর্কের কোনো হেরফের হবে না। ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্কও বদলাবে না।। যিনিই জিতুন না কেন, ওয়াশিংটন তাদের সংঘাতের নীতি থেকে সরবে না।”

তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ”বেশ কিছু বছর ধরে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকা বন্ধুত্বপূর্ণ অংশীদারের মতো ব্যবহার করছে না। তাই ট্রাম্প থাকুন বা বাইডেন আসুন, মার্কিন নীতি বদলানোর সম্ভাবনা কম।”

যুক্তরাজ্য আশাবাদী
তবে যুক্তরাজ্য আশা ছাড়ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, ”আমি দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত নই। নির্বাচনে যিনিই জিতুন না কেন, দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে।” স্কাই নিউজকে তিনি বলেছেন, ”সুযোগ ও ঝুঁকির সামান্য কিছু হেরফের হতে পারে। কিন্তু বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে দেখলে, আমেরিকা ও ইউরোপের স্বার্থের বিষয়টা এতটাই বড় যে, সেখানে কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়।”

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone